বিদেশে এখন
যুদ্ধ
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞার দাবি তেলআবিবের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে ৩২টি দেশকে চিঠি দিয়েছে তেল আবিব। এছাড়া তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, পাশাপাশি মিত্রদেরও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। এদিকে, ইরানের হামলার জবাবে করণীয় ঠিক করতে দফায় দফায় মন্ত্রিসভার বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইসরাইল।

ইসরাইলে ইরানের হামলার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তেল আবিব। যদিও ইরানের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব কিভাবে দেয়া যায় তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে ইসরাইলের সংসদ নেসেটে। এখন পর্যন্ত নেসেটে বৈঠক হয়েছে পাঁচবার। ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেসেট। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, এই হামলার জবাব দেবে তেলআবিব। কিন্তু ঠিক কি জবাব দেয়া হবে, আর তা কোন মাত্রার হবে সে বিষয়ে জানা যায়নি।

ইসরাইলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেন,'সপ্তাহব্যাপী ইসরাইল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সাড়ে ৩শ’র বেশি ব্যালিস্টিক, ক্রুজ, ড্রোন আর রকেট দিয়ে ইরানের মাটি থেকে হামলা করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত হামলা দেখা গেছে। ইরানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমারা সহযোগিতা করছে। তবে ইরানকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আমরা পদক্ষেপ নিবো। ইরান যা করছে, আগে কখনও এমনটা হয়নি।'

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইসরাইল যদি কোনভাবে ইরানে আবারও হামলা করে, তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এর জবাব দেয়া হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি সঠিকভাবে ভূমিকা পালন করতো, তাহলে তেহরানকে এপথে হাঁটতে হতো না।

ইরানের ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি বলেন, 'ইসরাইল যদি ভুল করে, এবার ইরানের জবাব ভয়াবহ হবে এবং তাৎক্ষণিক হবে। মনে করেন  ইহুদি রাষ্ট্রটি ১৪ এপ্রিল যে জবাব পেয়েছে, প্রতিক্রিয়া কিন্তু খুব স্বাভাবিক দেখাচ্ছে। এক্ষেত্রে ইরান কোন পদক্ষেপ নেবে না। কিন্তু যদি ইহুদি রাষ্ট্রটি সাধারণ কোনো পদক্ষেপও নেয়,  ইরান ছাড়বে না। ১২ থেকে ১৩ দিন অপেক্ষা করবো না। জবাব দেবো ঘণ্টায় না, সেকেন্ডে।'

এদিকে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলে ইরানের হামলার পর গাজায় চলা ধ্বংসযজ্ঞ থেকে চোখ সরে গেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। গাজায় চলছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযান। গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমানের হামলায় একটি মসজিদসহ অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছে অনেক শিশু।

ইএ