বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পের ওপর হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা বাড়ার শঙ্কা

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার জেরে সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা আরও বাড়ার শঙ্কা জানিয়েছেন মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। রিপাবলিকান সমর্থকদের উগ্র আচরণকে যার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেয়ার সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হামলা শিকার হন, তখন তার মুখে শোনা যায় ৩টি শব্দ- ফাইট, ফাইট, ফাইট। রিপাবলিকান সমর্থকদের উদ্দেশ্য করেই গুলিবিদ্ধ ট্রাম্পের এ বাণী।

ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তার সমর্থকরা। ইতোমধ্যেই স্থগিত করেছে প্রচারণা। এ ঘটনা ছাড়াও ট্রাম্প তার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়ে বহুবার আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলেছেন। ফুঁসিয়ে তুলেছেন বাইডেনের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও ২০২১ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন ডেমোক্রেট নেতা জো বাইডেন, সেসময় ট্রাম্প সমর্থকদের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা, আজও বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দেয় রিপাবলিকানদের নজিরবিহীন কর্মকাণ্ডের কথা।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক রন ব্রাউনস্টেইন বলেন, ‘৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের ঘটনার ৩ বছর পরও দলটির খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। ট্রাম্পের ওপর হামলা ঘটনায় হয়তো সাধারণ জনগণের সমবেদনা পাবেন তিনি। তবে তাদের এবারের নির্বাচনে জয়ে প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে বেশি থাকবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ধরনের আচরণে শঙ্কা জাগিয়েছে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা আরও বাড়ার। ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় যদি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নাও থাকে এরপরও সামাজিকভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘হতে পারে এটি রাজনীতির সঙ্গে একেবারেই সংশ্লিষ্ট নয়। তবে এর সামাজিক প্রভাব রয়েছে বেশ। যুক্তরাষ্ট্র আসলে কোথায় যাচ্ছে তাই এখন দুশ্চিন্তার বিষয়। মার্কিনরা এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না।’

রাজনীতি বিশ্লেষকদের সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মার্কিনরাও।

সাধারণ মার্কিনিদের একজন বলেন, ‘আমেরিকা কোথায় যাচ্ছে? একটি দেশে এতো ভেদাভেদ থাকতে পারে না। সবাইকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। কারো যদি কোন প্রার্থীর ওপর ক্ষোভ থাকে, তবে ভোটের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ করো।’

আরেকজন বলেন, ‘কমিউনিটির মানুষদের জন্য বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। তবুও মানুষের আচরণ আসলে আগে থেকে বোঝা যায় না কে কখন কী করে।’

নির্বাচনের প্রায় সাড়ে ৪ মাস আগে ট্রাম্পের ওপর হামলা, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাটকীয়তাও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর