ক্রিকেট
এখন মাঠে
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিটনেস পরীক্ষা ক্রিকেটারদের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। জানিয়েছেন ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট ছেড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সকালের শুরুতে ওয়ার্ম আপ শেষে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। এরপরই ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন নাজমুল শান্ত-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

দেশের ক্রীড়াতীর্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। একসময় ক্রিকেটারদের চার ছক্কায় মেতে থাকতো জাতীয় এই ভেন্যু। তবে ২০০৫ সালের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম হয়েছে ফুটবলারদের প্রাণকেন্দ্র। যেখানে নতুন করে তৈরি হয়েছে ফুটবলারদের মাঠ, বসানো হয়েছে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক। তবে দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটারদের পদাচারণায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারও আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি।

আকরাম খান, হাবিবুল বাশার নয় এবার নতুন প্রজন্মের নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেনদের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছর পর জাতীয় এই স্টেডিয়ামে নিজের ফিটনেস পরীক্ষা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কঠিন এই পরীক্ষায় রিয়াদ দীর্ঘদিনের সতীর্থ মুশফিকুর রহিমকেও পেয়েছেন পাশে।

ফুটবল মাঠে ফুটবল না খেলে অপূর্ণ থাকতে চায়নি কোনো ক্রিকেটার। তাইতো ওয়ার্মআপের পরই ফুটবল নিয়ে নিজেদের মধ্যে করেছেন খুনসুটি। এরপরই মমিনুল হক, তানজিম সাকিবদের নতুন ট্রেইনার ন্যাথন কিলির দিকনির্দেশনায় দিয়েছেন ইয়ো ইয়ো টেস্ট। দৌড়েছেন ১৬০০ মিটার। ফিটনেস পরীক্ষায় কেমন করলেন ক্রিকেটাররা জানিয়েছেন ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি।

বিসিবি ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি বলেন, ক্রিকেটারদের এমন টেস্ট  আগে নেওয়া হয়নি। ক্রিকেটারদের কাছে নতুন মনে হয়েছে।' 

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট ছেড়ে ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামে ফিটনেস পরীক্ষা। কারণটা কি?

ইফতি আরও বলেন, 'অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকের সময়ে একটা বিষয় থাকে। আন্তর্জাতিক বেশ কিছু টাইম মেথড আছে যেমন আজকে আমরা ১৬শ’ মিটারের টেস্ট করলাম।'

বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বলেন, 'সাধারণত ৬টার সময় ফিটনেস টেস্ট দেখতে আসা এত মানুষের কথা না। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখেই এখানে সবাই এসেছে।'

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতির প্রথম পর্বে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ ক্রিকেটার। অনুপস্থিত সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সোম্য সরকার, তাইজুল ইসলামকেও পরবর্তীতে এই ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে।

ইএ