ক্রিকেট
এখন মাঠে

কনকাশনে নেমেই তামিমের ৮৪ রান

কনকাশন সাবে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নেমে বাজিমাত করলেন তানজিদ তামিম। ৮৪ রানের এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। কি এই কনকাশন সাব?

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের ইনিংসের শেষ মুহূর্তে একের পর এক ইনজুরির হানা। একাদশে না থাকলেও আঘাত পেয়েছেন জাকের আলী অনিক। হাওয়ায় ভাসা বল ধরতে গিয়ে বিজয়ের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ঘটে এমন বিপত্তি।

সাকিবের ছিটকে যাওয়াতে শেষ ম্যাচে আবারও সুযোগ পাওয়া মোস্তাফিজও পরেছেন ইনজুরিতে। তাদের কারোর ইনজুরির কারণে বদলি কোন প্লেয়ারকে মাঠে নামতে হয়নি। তবে সৌম্যর ইনজুরিতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে আবারও হলো কনকাশন সাব।

লঙ্কানদের ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি বাচাতে গিয়ে বিলবোর্ডের সাথে ধাক্কা খান সৌম্য। প্রথমে হাঁটুতে আঘাত পেলেও পরে জানা যায় ঘারেও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন আগের ম্যাচেই ফিফটি করা এই ক্রিকেটার। এই ম্যাচেও তাকে দিয়ে ওপেন করানোর কথা থাকলেও পরে আর মাঠেই নামতে পারেননি তিনি। যে কারণে কনকাশন সাবের নিয়মে বিজয়ের সাথে ওপেনিং করতে নামেন তানজিদ তামিম।

আর নেমেই তানজিদ মনে করিয়ে দিলেন ২০১৯ সালে অ্যাশেজে প্রথমবারের মতো কনকাশন সাবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথের বদলে মারনাস লাবুশেনের ব্যাটিংয়ে নামা। সেটাই ছিল ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম কনকাশন সাব। এরপর একের পর এক ম্যাচে ফিফটি আর সেঞ্চুরিতে কিভাবে লাবুশানে হয়ে উঠলেন অজিদের রান মেশিন তা সবার জানা।

লাবুশানের মতো তানজিদ তামিমের ভাগ্যে তেমন কিছু অপেক্ষা করছে কি না তা সময় বলে দিবে। তবে সুযোগ পেয়েই ৮১ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে পরের সিরিজে নিজের জায়গা অনেকটাই পাকা করে ফেললেন। যদিও একটু মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে পারলে হয়তো এই ইনিংসটা নিয়ে যেতে পাতেন পারতেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হিসেবে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিল হিউজের মৃত্যুর পরই ক্রিকেটে কনকাশন সাবের নিয়ম আনে আইসিসি। শুধুমাত্র ঘাড়ে কোন ক্রিকেটার আঘাত পেলেই এই নিয়মের আওতায় আসবে। তখন একজন বোলারের পরিবর্তে বোলার, ব্যাটসম্যানের পরিবর্তে ব্যাটসম্যান আর অলরাউন্ডারের পরিবর্তে অলরাউন্ডার মাঠে নামতে পারবে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর