এখন মাঠে

আম্পায়ারিংয়ে আর্থিক নিরাপত্তা বেড়েছে, আগ্রহী হচ্ছেন ক্রিকেটাররা

আম্পায়ারিংয়ে এখন আর্থিক নিরাপত্তা আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে। তাই বর্তমান থেকে সাবেক অনেক ক্রিকেটারই আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার বেছে নিচ্ছেন। দেশের আম্পায়ারদের পাইপলাইন আরও শক্ত করতে নিয়মিত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলে শরফুদ্দৌলা সৈকত। এছাড়া আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলেও জায়গা পেয়ে নারীদের আম্পায়ারিং পেশাতেও দৃষ্টান্ত রেখেছেন সাথিরা জাকির জেসি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একসময় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা এই আম্পায়ারিং বিভাগে গেল ৩ বছরে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে বিসিবি। এজন্য অবশ্য ক্রিকেটে বোর্ডের দূরদর্শী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও মেধাবী আম্পায়ারদের কৃতিত্ব আছে অনেক।

বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘আম্পায়ারিংয়ের বিষয়টি ওপেন হয়ে যাওয়াতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে আসছেন। আর নতুন আম্পায়ারদের শুধু আমরা ঢাকা শহর থেকে নেইনি, সারা বাংলাদেশ থেকে নিয়েছি।’

দারুণ শ্রবণশক্তির সক্ষমতা, উপস্থিত বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কিংবা ইংরেজি জানা বা বলার দক্ষতা, সবমিলিয়ে একজন আম্পায়ার আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠতে পারেন। সেই দীক্ষাই আগামী প্রজন্মের আম্পায়ারদের দিয়েছেন দেশ সেরা আম্পায়াররা। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে আর্থিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতীয় দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন এমন সব ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবি দুই সপ্তাহের আম্পায়ারিং ট্রেনিংয়ের আয়োজন করেছে।

আম্পায়ার্স কোর্সের কোচ এনামুল হক মনি বলেন, ‘আমরা খুব ভালো ছেলে ও মেয়ে পেয়েছি। যারা কিনা জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছে আবার এডুকেশন লেভেলও ভালো। এই ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতের আম্পায়ার তৈরি করা।’

ক্রিকেটার রোমানা আহমেদ বলেন, ‘যারা খেলতে পারছে না, কিন্তু দীর্ঘদিন ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে চায় তারা এই কোর্স করছে। আশা করি, সবাই এখান থেকে ভালো উন্নতি করতে পারবে।

আইসিসির এলিট থেকে প্যানেল পর্যায়ে আম্পায়ারিং করেন এমন চারজন আম্পায়ার বিসিবির বেতনভুক্ত আছেন। তবে এ বছরেই সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে বোর্ডের।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর