কোরবানির ঈদ এলেই দল বেধে গরু কিনতে যাওয়ার স্মৃতি বারবার ভেসে ওঠে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মনে। প্রবাসে গরুর হাট বসানোর সুযোগ না থাকলেও খামারে গিয়ে দরদাম করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারেন তারা। নানা জাতের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গরু পাওয়া যায় দেশটির প্রাদেশিক অঞ্চলে গড়ে ওঠা একেকটি খামারে।
একজন খামারি বলেন, 'এখানে ৫০০ গরু লালনপালন করছি। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের পাশাপাশি স্থানীয়রা এখানে এসে গরু কিনতে পারবেন। আমাদের এখানে সুলভ দামে গরু পাওয়া যায়। ক্রেতারা চাইলে পছন্দমতো গরু কিনতে পারবেন। গরুর দাম ক্রেতাদের সাধ্যের নাগালে রাখার চেষ্টা করছি।'
একেকটি ভালো জাতের গরু কিনতে সাড়ে ৫ হাজার রিয়াল থেকে ১২ হাজার রিয়াল পর্যন্ত খরচ হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দেড় থেকে ৪ লাখ টাকা।
খামারে লালন করা গরুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর সৌদির প্রাণিসম্পদ বিভাগ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অসুস্থ পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ গবাদি পশুর খাবারের মান নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
যেহেতু শহরাঞ্চলের বাসাবাড়িতে গরু রাখার ব্যবস্থা নেই তাই কেনাকাটা সেরে সেটি খামারেই রাখতে হয় ক্রেতাদের। খামারিদের থেকে রসিদ নিয়ে রাখলে আর কোনো চিন্তা নেই ক্রেতাদের।
একজন প্রবাসী বলেন, 'এখানের গরুগুলো ভালো, দামও মোটামুটি কম আছে।'
আগামী ১৫ জুন ঈদের আগের দিন খামার থেকে গরু নিয়ে মাসনায় বা কসাইখানায় যেতে হবে ক্রেতাদের। প্রতিটি গরু জবাই ও মাংস আলাদা করতে কসাইদের মজুরি ২০০ থেকে ৫০০ রিয়াল। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার টাকা। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরু কাটলে নজর রাখতে হয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। পরিবেশ দূষণ করলে এখানেও গুণতে হবে জরিমানার অর্থ।