প্রায় ৮ মাসব্যাপী যুদ্ধে গাজা উপত্যকার একমাত্র নিরাপদ স্থান ছিল রাফাহ। তবে চলতি মাস থেকে শহরটিতে স্থল অভিযান শুরুর কারণে নেমে আসে মানবিক বিপর্যয়। দুই সপ্তাহে সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৯ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। খাবার, সুপেয় পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে রাফায়।
স্থানটিতে স্থলাভিযান বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের রায় আসবে আজ। গেল জানুয়ারিতেও গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরাইলকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেয় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ আদালত। তবে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। রায়কে সামনে রেখে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করা হয় ইসরাইলের পক্ষ থেকে।
ইসরাইলের জাতীয় জনকূটনীতি দপ্তরের মুখপাত্র এভি হেইম্যান বলেন, 'বিশ্বের কোনো শক্তিই ইসরাইলকে নিজেদের জনগণকে রক্ষা ও গাজায় হামাসের পেছনে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। হামাসকে ধ্বংস করে ইসরাইল ও গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনবো।'
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতকেই নিষেধাজ্ঞা দেয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৩ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, আদালতের রায়কে প্রত্যাখান করেছে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন হিসেবে মার্কিন পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে নেতানিয়াহুকে।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, 'আইসিসির বিষয়ে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমরা তাদের রায়কে প্রত্যাখান করছি। হামাস যা করেছে, তার সঙ্গে ইসরাইলের কার্যকলাপকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না।'
মাইক জনসন বলেন, 'কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে শিগগিরই ক্যাপিটল হিলে আসবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শন করার সবচেয়ে ভালো সময় এটি।'
এদিকে দ্রুতই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেয়ায় আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিন্দা জানিয়েছে ইসরাইল।