দেশে এখন , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

নওগাঁয় সরিষা চাষে ভালো ফলনের আশা

নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে দেখা মিলে সরিষার।

মান্দা উপজেলার কালিগ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম। চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন তিনি। বিঘাপ্রতি ৬ মণ ফলনের আশা তার। সরিষা তুলে বোরো আবাদ করবেন। গত বছর প্রতিমণ সরিষা ৩ হাজার ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করেছিলেন। এরপর একই জমিতে করবেন বোরোর আবাদ। যাতে বাড়তি লাভ হবে।

আমিনুল ইসলাম বলেন, 'দুই বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৩ মণ সরিষা হয়। এতে আমি অনেক লাভবান। এতে বোরো আবাদ করতেও অতিরিক্ত খরচ লাগে না।'

নওগাঁয় চলতি মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৩ হাজার টন সরিষা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খরচ কম এবং লোকসানের ঝুঁকি কম থাকায় বেড়েছে সরিষা চাষ। চাষের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমি। প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ মণ ফলনের আশা চাষিদের।

চাষিরা বলেন, 'সরিষা চাষে লাভ বেশি। পরে আবার ধান লাগানো যায়, খরচও কম হয়। একবিঘায় ৬ মণ সরিষা পাইতে পারি।'

সরিষা আবাদে একটি সেচ দিতে হয়। যেখানে বিঘাপ্রতি খরচ পড়ে এক হাজার টাকা। সরিষা রোপণে গাছ বড় হওয়ার পরই বৃষ্টি হওয়ায় চাষীদের সেচ খরচ বেঁচেছে অন্তত ২১ কোটি টাকা।

এবছর  জেলায় উন্নত বারি-১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ এবং বিনা-৪ ও ৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে।

কৃষকরা বলেন, 'সরিষা ক্ষেতে আমাদের একবার সেচ দিতে হয়। বৃষ্টি হওয়ায় খরচ বাচলো।'

ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষি প্রণোদনা ও পূণর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৩৩ হাজার ৮০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে।'

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর