ইউক্রেনকে জরুরি ভিত্তিতে সামরিক সহায়তা দিতে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো। গেল বছরের শেষদিক থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তায় ধীরগতি দেখা দেয়ায় এই চুক্তিতে এসেছে ন্যাটো।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের জন্য ১১০ কোটি ইউরোর সামরিক সহায়তার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ন্যাটো সদস্য দেশগুলো। লক্ষ্য দেশটিকে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ সরবরাহ করা। এই গোলাবারুদ সরবরাহ করবে জার্মানি ও ফ্রান্সের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালে মিলবে প্রথম গোলাবারুদের সরবরাহ। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, নিজেদের সীমানার নিরাপত্তা রক্ষায় এই উদ্যোগ জরুরি ছিলো। ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন অস্ত্রের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
গেলো কয়েক মাস ধরে বেড়েছে দুই দেশের যুদ্ধের তীব্রতা। বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলা। রাশিয়ার সক্ষমতা এক্ষেত্রে অনেক বেড়েছে, কারণ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ইউক্রেনের প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন অর্থ ও সামরিক সহায়তা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বলছে, যেখানে ইউক্রেন দৈনিক ৪ থেকে ৭ হাজার গোলাবারুদ নিক্ষেপ করছে, রাশিয়ার পরিমাণ সেখানে ২০ হাজারেরও বেশি।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল হওয়ায় সম্প্রতি দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতেও শক্তিশালী হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভ জানায়, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে ইউক্রেনে ৫শ' ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। কিয়েভের লক্ষ্য, ২০২৪ সালেই ১০ লাখ ড্রোন তৈরি করবে তারা।
এদিকে, ৪ ঘণ্টার তর্ক বিতর্কের পর পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্যপদ পেতে যাচ্ছে সুইডেন। মঙ্গলবার(২৩ জানুয়ারি) তুর্কিয়ের পার্লামেন্টে ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদের অনুমোদন দেয়া হয়। তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই বিলে স্বাক্ষর করবেন কয়েকদিনের মধ্যেই। চলতি বছরই দশকের সবচেয়ে বড় যুদ্ধের খেলা 'স্টিডফেস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪' আয়োজন করতে যাচ্ছে ন্যাটো। সুইডেনের পাশাপাশি বাকি ৩১ সদস্যদেশের ৯০ হাজার সেনা অংশ নেবে এই সামরিক মহড়াতে।