ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

মস্কোতে ১৪৫ বছরে সর্বোচ্চ তুষারপাত, শীতে কাঁপছে জার্মানি

তুষারপাত, বরফ আর হাড় কাঁপানো বাতাসে বিপর্যস্ত ইউরোপের বিভিন্ন এলাকা।

শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই দক্ষিণের ব্যাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ট্রেন ও বিমানের একের পর এক পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি বাতিল করা হচ্ছে। বড়দিনের উৎসব এগিয়ে এলেও এক সপ্তাহ ধরে শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে।

সোমবার ইংল্যান্ডের উত্তরে কাম্ব্রিয়ার আংশিক তুষারে ঢেকে যায়। অপ্রত্যাশিত তীব্র তুষারপাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো এলাকা, সড়কে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। আইরিশ সাগরের হিমশীতল বাতাস কয়েক ঘণ্টায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার বয়ে আনে।

স্থানীয়রা কয়েকজন জানান, 'হঠাৎ তুষারপাত শুরু হলো। প্রথমে মনে হয়েছিল, কী চমৎকার! কিন্তু সন্ধ্যায় আমরা আটকে পড়লাম। এখন এখানেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।'

রাতভর তুষার জমে বরফে রূপ নেয়ায় স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের প্রায় ১২টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একদিন আগেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। যুক্তরাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে রাশিয়া। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা গ্রাস করেছে পুরো দেশকে। রেকর্ড তুষারপাতে যেন বরফের কম্বলের নিচে চাপা পড়েছে মস্কো। বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট শিডিউলে বিঘ্ন ঘটছে। দেরি করে ছেড়েছে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট।

চলতি সপ্তাহে রাজধানীর তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চল উরালে তাপমাত্রা নামতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে। তবে শীতের তীব্রতায় অভ্যস্ত রুশ জনজীবনে এর ছায়া নেই।

এক রুশ নাগরিক গণমাধ্যমকে বলেন, 'মনে হচ্ছে বরফে জমে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো লাগছে। খুব সুন্দর তুষারপাত হচ্ছে। পুরো শহর ঝলমল করছে।' আরেকজন বলেন, '২০ বছরে এমন তুষারপাত দেখিনি। আসলে আমার পুরো জীবনেই দেখিনি। আমি খুব খুশি যে এই মুহূর্তে আমি মস্কোতে থেকে এই আবহাওয়া উপভোগ করতে পারছি।'

এশিয়ার একদম উত্তর প্রান্তের রুশ প্রদেশ সাইবেরিয়ায় তাপমাত্রা এরই মধ্যেই পৌঁছেছে মাইনাস ৫৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এক কোটি ৩১ লাখ বর্গকিলোমিটারের সাইবেরিয়ায় মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় নিয়মিত হয়ে উঠেছে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর