বিদেশে এখন
0

কানাডায় বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা

উন্নত সুযোগ-সুবিধার কারণে কানাডায় প্রতিনিয়ত অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ মহাদেশ থেকে অনেকে কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছেন উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার আশায়। সামাজিক-অর্থনৈতিক নানা সূচকে উত্তর আমেরিকার দেশটি বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছে।

একটি কথা প্রচলিত আছে- কানাডায় যত আয় করবেন ততই বাড়বে ট্যাক্স। জনগণের কাছ থেকে বেশি ট্যাক্স আদায় করা দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে প্রথম সারিতে কানাডার অবস্থান। আয়ের ওপর যেমন অর্থ কেটে রাখে সরকার, তেমন সুবিধার বেলায় ফিরিয়ে দেয় শতভাগ। আর তাই তো অন্য বড় দেশগুলোকে ফেলে ভিন্ন ভিন্ন সূচকে কানাডার অবস্থান শীর্ষে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভার, আলবার্টার ক্যালগারি ও অন্টারিও'র টরন্টো- বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর সূচকে শীর্ষ ১০-এ অবস্থান করছে। গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্সই শুধু নয়, এখানকার বাসিন্দারা নানামাত্রিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছেন।

কানাডা প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘এসব শহরে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। শহরের সড়কগুলোও অনেক নিরাপদ। এছাড়া মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে। এজন্যই বসবাসের জন্য অনেকে কানাডা পছন্দ করেন।’

এছাড়া ইউএস নিউজের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা দেশ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। সৌন্দর্য, পরিবেশ, মানুষের বসবাসের সুবিধার নানা দিক বিবেচনায় এই তালিকা করা হয়। সরাসরি বিভিন্ন দেশের মানুষ অংশ নেন এই জরিপে। সুইজারল্যান্ড তালিকার শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।

পড়াশোনার মানের দিক থেকে নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি বেশ মূল্যবান। প্রতি বছর লাখ লাখ মেধাবী শিক্ষার্থী এ দেশে শিক্ষা অর্জনের জন্য আসছেন।

বৈচিত্র্যপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেও কানাডা বেশ আলোচিত। সারাদেশে বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তীব্র শীত থাকে। তখন ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবন কিছুটা ধীর হলেও এপ্রিল থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করে।


এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর