সত্যব্রত সাহা বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে দুর্যোগ বেড়েছে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ফলে আমাদের দেশের সাংবাদিকদের দায়িত্বও বেশি। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আরও বেশি অনুসন্ধানী ও পর্যালোচনাধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এখন যেভাবে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, সেভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই আমাদের কার্বন বাজেট শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য আমাদের কাছে ১০ বছরেরও কম সময় আছে।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা বলেন, 'সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছিলেন পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রেখে যেতে হবে, আগামী প্রজন্মের কাছে এই হোক অঙ্গীকার।' জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে উন্নয়নের একটি সংযোগ রয়েছে। যে সব দেশ উন্নতি করেছে, তারা জলবায়ুর ক্ষতি করেই উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করেছে, সুতরাং সেসব দেশের এখন দায়বদ্ধতা খুব বেশি।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় সাহা, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা ও ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা। আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিজেএফের সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিমকোর মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুফী জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সুফী জাকির হোসেন।