বিদেশে এখন , মধ্যপ্রাচ্য
যুদ্ধ
0

আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে যুদ্ধ চালালেও খুব বেশি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েনি ইসরাইল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে পড়ছে নেতানিয়াহু'র প্রশাসন।

বিশ্বব্যাপী ইসরাইল বিরোধী আন্দোলন ও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের তথ্য তুলে ধরেছে আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা বা এসিএলইডি।

বেসরকারি এই সংস্থার তথ্য মতে, গত দেড় মাসে ১১৮টি'র বেশি দেশ ও অঞ্চলে ফিলিস্তিনের পক্ষে ৭ হাজার ২৮৩টি আন্দোলন হয়েছে। যেখানে ইসরাইলপন্থী আন্দোলন হয়েছে মাত্র ৮৪৫টি।

আন্দোলনকারীরা বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। এর প্রতিবাদে আমারা স্পেনের সরকার ও রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাস্তায় নেমেছি। আমরা এখানে এসেছি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে।'

এসব আন্দোলন বিক্ষোভে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই একসঙ্গে অংশ নিয়েছে। ভেটো ক্ষমতা ও অস্ত্র সরবরাহ করে ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদেও বেশিরভাগ দেশ ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দেয়।

এদিকে পণ্য বর্জন করে ইসরাইলবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। বিশাল একটি অংশ বিডিএস আন্দোলনে আগ্রহী হচ্ছে।

গোটা বিশ্বে বাড়ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন

ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধের জন্য ২০০৫ সালে ফিলিস্তিনি সুশীল সমাজ গড়ে তোলে 'বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট ও স্যাঙ্কশন' বা বিডিএস আন্দোলন। যার মূল ভিত্তি ছিল ইসরাইলি পণ্য ও কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইসরাইলকে চাপে রাখা।

মূলত বিডিএস আন্দোলনের তৈরি করা তালিকাটি এখন অনুসরণ করছে সবাই। যার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস বা স্টারবাক্সের মতো বড় কোম্পানিগুলো। সারাবিশ্বে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে ইসরাইলি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

সাধারণ মানুষ বলেন, 'ইসরাইলি কোম্পানির হাতে অর্থ গেলে সেগুলো সাধারণ ফিলিস্তিনি হত্যায় ব্যবহার করা হবে। তাই তাদের কোনো পণ্য আমরা কিনবো না। পণ্য বর্জনের ডাকে সাধারণ ক্রেতারা ভালো সাড়া দিচ্ছে। তাই হুট করেই বড় বড় কোম্পানিগুলো ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ছাড় দিচ্ছে।'

বড় বড় প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইসরাইলি পণ্য ও কোম্পানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। পণ্য বিক্রি কমে যাওয়ায় ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী না অনেক ব্যবসায়ী।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর