এশিয়া
বিদেশে এখন
0

নিউইর্য়কে অ্যানিমে কনভেনশন উচ্ছ্বসিত অ্যানিমেপ্রেমীরা

জমকালো আয়োজনে নিউইর্য়কে পালিত হলো অ্যানিমে কনভেনশন। তিনদিনব্যাপী এই আয়োজন উপভোগ করেন প্রায় ১ লাখ ভক্ত। পছন্দের কাল্পনিক চরিত্রের পোশাকে, ইভেন্টে অংশ নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন অ্যানিমেপ্রেমীরা।

রোমান্স থেকে অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার ও সায়েন্স ফিকশন। পছন্দের সব কাল্পনিক চরিত্রে অ্যানিমে কনভেনশনে ভক্তরা।

প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জাপানি সংস্কৃতির বাহক অ্যানিমে। বিনোদন জগতেও দিন দিন পাকাপোক্ত হচ্ছে অ্যানিমেটেড সিনেমার বাজার। জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্র, গোটা বিশ্বেই অ্যানিমে সিনেমা ও গল্পের নানা চরিত্রের রয়েছে কোটি ভক্ত। এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে অ্যানিমে কনভেনশনে এক ছাদের নিচে জড়ো হলেন লাখো ভক্ত ও দর্শনার্থী।

জনপ্রিয় বিভিন্ন কার্টুন ও অ্যানিমেশন চরিত্রের রূপে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন ভক্তরা। যুক্তরাষ্ট্র-জাপান ছাড়াও আয়োজনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত সাধারণ দর্শনার্থীরা।

ভক্তরা বলেন, 'বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন সিরিজ আসছে, রয়েছে অনেক চরিত্র। জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কাছেও অ্যানিমে অত্যন্ত পছন্দের।'

আরো একজন বলেন, 'আমি মনে করি, জাপানি মাঙ্গা এবং অ্যানিমে চরিত্রে অনেক বেশি স্বাধীনতা রয়েছে।নানা গল্প ও বৈচিত্র্য আসলেই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়।'

অ্যানিমেপ্রেমীরা বলেন,'আমি কসপ্লে পছন্দ করি কারণ এটি আমার কাছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো ৷ আমাদের জাতি ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করা হয় ।আমি সেই প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।'

একজন দর্শনার্থী জানান, আমি এই আয়োজন খুবই ভালোবাসি। অনেক মজা করেছি, সব বন্ধুদের দেখতে পারছি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পেরে খুব ভালো সময় কাটছে ।

২০১৭ সালের পর এই প্রথম বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে এবারের অ্যানিমে কনভেনশনে। আগামীতে এই ধারা অব্যহত থাকবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।

আয়োজকরা জানান, এটি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আয়োজন, ২০১৭ সালে মাত্র ২০ হাজার ভক্ত অংশ নেন। অ্যানিমে কনভেনশনে প্রত্যেকের জন্যই কিছু না কিছু রয়েছে। সত্যি বলতে এটা একটা বড় পার্টি, সবাই একে অপরকে দেখতে পেরে উচ্ছ্বসিত ।

শুধু অ্যানিমে চরিত্র নয়, বড় এই আয়োজনে অ্যানিমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যও ছিল জমজমাট। রঙ-বেরঙের নানা কার্টুন ও পুতুলের পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারাও।

অ্যানিমেশন ইন জাপান–এর সংক্ষিপ্ত রূপ অ্যানিমে। ১৯১৭ সালে জাপানি শিল্পী শিমোকাওয়া ওটেন, জুনিচি কাওচি ও সেটারো কিটাইয়ামার হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় মূল অ্যানিমেশন ইন জাপানের। সময়ের পরিক্রমায় ১৯২৩ সালের যুক্তরাষ্ট্রের 'দ্য ওয়াল্ট ডিজনি' কোম্পানির মাধ্যমে রঙিন জগতে প্রবেশ করে অ্যানিমেশন শিল্প।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর