এশিয়া , ইউরোপ
বিদেশে এখন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়েছেন মোদি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আবারও বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে কেমন হবে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক। বিজেপি প্রধান নরেন্দ্র মোদি কাদের রাখবেন বন্ধু তালিকায় আর কাদেরকেই বা শত্রু তালিকায়?

ভারতে গত এক দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দীর্ঘ এই সময়ে সুপার পাওয়ার ভারত দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। এছাড়াও সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইউরোপ ও আমেরিকার সঙ্গে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার গঠন করলে কেমন হবে বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক? এ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বরাবরের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে মোদি সরকার। আর এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন নয় বরং এর বিরোধী শক্তি ভারতকে এগিয়ে রাখতে। গেল বছর হোয়াইট হাউজে মোদিকে রেড কার্পেট সংবর্ধনা দেয়ার পর দু'দেশের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লির কাছে ৪ বিলিয়ন ডলার মুল্যের অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রি করে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে মোদি সরকারের। ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধবিমান ও সাবমেরিন কিনতে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যক চুক্তি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভালো রাখলেও প্রতিবেশি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা আগের মতোই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ চির প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও ভারত উভয়ই এশিয়ায় বড় শক্তি হয়ে উঠেছে।

একদিকে ব্রিকসের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে মোদি সরাকার। সেই সঙ্গে গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেও নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়তে চান তিনি। তার ওপর দু'দেশের সীমান্ত উত্তেজনা তো রয়েছেই। ভারত-চীন সীমান্তে কয়েক হাজার সেনা টহলে রয়েছে।

চীন ছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বৈরীতার সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর