বিদেশে এখন

রাফায় হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি নেই

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের এ পর্যায়ে কারা এগিয়ে? হামাস নাকী ইসরাইল? যুক্তরাষ্ট্র আসলে কী চায়? কেন ইসরাইলের পিঠ থেকে হাত সরিয়ে নিচ্ছে তারা? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে মার্কিন সামরিক গবেষক জন স্পেন্সার দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর কাছে একটি সাক্ষাৎকার দেন। তার মতে, দু'পক্ষের যুদ্ধক্ষেত্রের এ পর্যায়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকা পালন করছে তা নিসন্দেহে গোটা বিশ্বের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে যাচ্ছে।

গেল ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষেণ করে আসছেন মার্কিন সামরিক গবেষক 'স্পেন্সার'। তাই যুদ্ধ নিয়ে তার রয়েছে দুরদর্শী মন্তব্য। স্পেন্সার বলেন, 'যুদ্ধের শুরুতে স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থ ও সামরিক সহায়তাও দিয়েছে তারা।'

তবে এতো কিছুর পরও দীর্ঘ ৭ মাসেও হামাসের কিছুই করতে পারেনি ইসরাইল। তাদের চোখের সামনেই মাসের পর মাস বন্দীদের আটকে রেখেছেন তারা। একের পর এক প্রতিহত করেছে ইসরাইলি অভিযান।

এই ব্যর্থতা ঘুঁচাতে যখন নতুন ফন্দি এটেছে ইসরাইল তখন আর বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাচ্ছে না। তেল আবিব বলছে, রাফায় লুকিয়ে রয়েছে হামাস সদস্যরা। এছাড়া এই রাফা দিয়েই মিশর থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে আসে তারা। তাই হামাস নির্মূল করতে চাইলে রাফায় বড় ধরনের সামরিক অভিযানের বিকল্প নেই।

তবে রাফায় সামরিক অভিযানের বিষয়ে কোনভাবেই ইসরাইলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, রাফায় লাখো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে সামরিক অভিযান চালানো মানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করা। যা কোনভাবেই সমর্থন করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। তাই রাফায় অভিযানের বিষয়ে ইসরাইলকে বাধা দিচ্ছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকেও এ বিষয়ে চাপ রয়েছে ইসরাইলের ওপর।

মার্কিন সামরিক গবেষক জন স্পেন্সারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইতিহাসে বড় ধরনের বিপ্লব ঘটাতে পারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'যুদ্ধের এ পর্যায়ে এগিয়ে রয়েছে হামাস। আর ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করতে চেয়েও তা কোনভাবেই পেরে উঠছে না। তবে পশ্চিমারা এখন যেভাবে ইসরাইলের হাত-পা বেধে ফেলছে এতে নিসন্দেহে বলাই যায় এ যুদ্ধে হামাসের জয় অনেকটাই নিশ্চিত।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর