সত্তর দশকের শেষদিকে ২৩ কর্মী দিয়ে শুরু হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। মূলত এরপর থেকেই কাজের সন্ধানে দেশটিতে পা রাখতে শুরু করে বাংলাদেশিরা। ধারণা করা হয়, মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখেরও বেশি প্রবাসীর বসবাস। যাদের বেশিরভাগ সাধারণকর্মী। তবে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও, এখন বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়েছেন প্রবাসীরা। সফলতার শীর্ষেও পৌঁছেছেন অনেক বাংলাদেশি।
দেশটির প্রায় সব ধরনের বাণিজ্যিক খাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ আছে। সেলুন ব্যবসায়ও সফলতা পেয়েছেন বহু প্রবাসী। মূলত বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব সেলুন। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং ও চৌকিটে বসবাস করেন প্রায় ১০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের জন্য এসব অঞ্চলে বাঙালি মালিকানায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সেলুন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ী রাসেল রানা বলেন, 'বাংলাদেশি সেলুন হওয়ায় বাংলাদেশিরা অনেক সুলভ মূল্যে এখানে কাজ করতে পারছে এবং সেবা পাচ্ছে। এর ফলে বাঙালিরা উপকৃত হচ্ছে এবং আমরা ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হচ্ছি।'
এসব সেলুনে কাজের সুযোগ হয়েছে কয়েক হাজার দক্ষ বাংলাদেশি নরসুন্দরের। নিজ দেশের মালিকদের অধীনে কাজ করতে পেরে তারাও সন্তুষ্ট। তুলনামূলক কম খরচের জন্য প্রবাসীদেরও পছন্দ বাংলাদেশি সেলুন।
সেলুনের দুইজন কর্মী বলেন, 'বাঙালি বসের অধীনে কাজ করি আমরা। অনেক ভালো সুযোগ-সুবিধা আছে আমাদের মাসে এক লাখ টাকা বেতন পাই। কাস্টমাররা মন-মতো চুল কাটতে পেরে খুশি তারা।'
সেলুনগুলোতে কাজ করে প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন তারা। আর বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বলছেন, এই ব্যবসায় এককালীন বিনিয়োগ করতে হয়। তাই এ খাতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা যতো বাড়বে প্রবাসী আয়ের খাতও তত শক্তিশালী হবে।