২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশি ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। হামলা বন্ধে রুশ প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে তখন থেকে এখন পর্যন্ত ১২ দফায় দেশটির ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। সবশেষ বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিষেধাজ্ঞার ১৩তম তালিকা প্রকাশ করে জোটটি।
বলা হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ'র এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা এটি। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় জোটভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে না প্রায় ২০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। সবমিলিয়ে সংখ্যাটি দুই হাজার।
অর্ধশতাধিক রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার নতুন তালিকা বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। রাশিয়াকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে তুর্কিয়ে আর চীনের চারটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে এ তালিকায়। ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত দুই হাজার ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ডাউনিং স্ট্রিট।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ‘রাশিয়া ও পুতিনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের সব উপায় খতিয়ে দেখতে মিত্রদের সঙ্গে বসছি আমরা।’
পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগেই রুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোরতম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার ৫শ'র বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে মার্কিন প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও থাকবে রাশিয়াকে যেকোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া তৃতীয় দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-অর্থমন্ত্রী ওয়ালি আদিইয়েমো বলেন, ‘রাশিয়া শুধু ইউক্রেনেই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি, রুশ নাগরিকদের মানবাধিকারও রক্ষা করেনি। এজন্যই আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সবগুলোই কোনো না কোনো নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ।’
তবে বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মস্কো।