এখন ভোট
0

নির্বাচনী জয়ে এগিয়ে ব্যবসায়ীরা

এবারের জাতীয় নিবার্চনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মধ্যে অনেকেই জয়ও পেয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী-শিল্পপতির হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। তাদের অনেকেই এবার জয় নিয়ে বসতে যাচ্ছেন সংসদে। আবার কেউ কেউ হেরেও গেছেন।

ঢাকা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন বেক্সিমকো গ্রপের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও আরেক বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলামকে ৷

আবাসন ও তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবসা আছে ঢাকা ৩ আসনে নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু। ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। টানা দুই মেয়াদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ।

কর্ণফুলী গ্রুপের কর্ণধার সাবের হোসেন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে জিতেছেন ঢাকা ৯ আসন থেকে। ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে পরাজিত করেন লাঙ্গলের কাজী আবুল খায়েরকে। অটোমোবাইল, লজিস্টিকসসহ একাধিক গণমাধ্যমের মালিক তিনি।

তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ী কামাল আহমেদ মজুমদার সংসদ সদস্য হলেন ৫ম বারের মতো। ঢাকা-১৫ আসন থেকে জয়ী হন তিনি।

দলের মনোনয়ন না পেয়ে ঢাকা-১৮ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী। জাতীয় পার্টির শেরিফা কাদেরকে তিনি পরাজিত করেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে। প্লাস্টিক পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তার গাজী গ্রুপের অধীনে।

তৈরি পোশাক খাতে শীর্ষ ব্যবসায়ী হা-মীম গ্রুপের এ কে আজাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে। ফরিদপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।

রংপুর ৪ আসনে জয় পেয়েছেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

খুলনা ৪ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বস্ত্র ও তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনিও বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি।

নোয়াখালী ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম। গণমাধ্যম, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা আছে মোরশেদ আলমের।

কুমিল্লা ৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ভোট পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েছেন ব্যবসায়ী আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ ৬ আসন থেকে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী চয়ন ইসলাম বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ১ আসনে প্রথমবার প্রার্থী হয়েই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মাহবুব রহমান রুহেল। বাবা আওয়ামী নেতা ইঞ্জিনিয়াার মোশাররফ হোসেনের আসন থেকে জয় পান হোটেল ও বিনোদন শিল্পে ব্যবসা করা এই তরুণ।

চট্টগ্রাম ১৩ আসনে নৌকার মাঝি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী ও আরামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনিও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।

তবে এবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এফবিসিসিআই সভাপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের। কুমিল্লা ৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান ১১ হাজার ৯৫৭ ভোটে।

চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে স্বর্ণব্যবসায়ী দিলিপ কুমার আগারওয়াল স্বতন্ত্র হিসেবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি জয়ের বন্দরে৷

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর