অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে চাহিদা বাড়ায় দেশটিতে ধান ও ভুট্টার উৎপাদন অনেকটাই কমে এসেছিল। তবে সার ও বীজ বপনের জন্য ক্রেতাদের কাছ থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়ায় পরিবর্তন আসছে সার্বিক পরিস্থিতিতে।
ঋণ প্রদান সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পর্তুগুয়েসার অন্তত ছয়টি গিল্ড এবং জাতীয়ভাবে বিশটি শস্য-ক্রয় গোষ্ঠী থেকে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন কৃষকরা। রবার্তো বলেন, ‘একটি গিল্ড থেকে সার সরবরাহের কারণে একজন কৃষক বেঁচে যাচ্ছেন।’ তিনি জানান, আরো সহায়তা পেলে শস্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে।
শস্য উৎপাদনের প্রেক্ষিতে কৃষকরা এ ঋণ পরিশোধ করে থাকেন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ছোট কৃষকদের ছাড় দেয়া হয় বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষকরা জানান, ব্যাংক থেকে যদি আর্থিক সহায়তা না দেয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়বে এবং অনেকেই শস্য উৎপাদন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পা্রে।
ভেনিজুয়েলার কৃষি খাত মূলত জাতীয় খাদ্য উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। গত এক দশকে মূল্য এবং মুদ্রামানে নিয়ন্ত্রণ, জমি জাতীয়করণ, জ্বালানির অভাব থেকে শুরু করে পাবলিক পর্যায়ে বিভিন্ন সুবিধার অভাব কৃষি খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মুদ্রা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে ডলারে লেনদেন পরিচালনার সুবিধাও দেন। ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে শস্যের ফরোয়ার্ড সেলিং হলেও ভেনেজুয়েলার মতো দেশে একেবারেই নতুন। ফরোয়ার্ড সেলিং হলো ভবিষ্যতের কোনো এক সময়ে নির্ধারিত দামে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করা।
ভেনেজুয়েলার এগ্রিকালচার গিল্ডের তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশটিতে ১২ লাখ টন ধান ও সাদা ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। তবে উৎপাদনের এ হার এক দশক আগের ৩৪ লাখ টনের তুলনায় অনেক কম।