গ্রামীণ কৃষি , শস্য
কৃষি

কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিপাকে মেহেরপুরের চাষিরা

মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মাঠের পর মাঠ এ মৌসুমে সোনালী ধানের ফসল চোখে পড়ার কথা থাকলেও মেহেরপুরে এখন শুধুই ফ্যাকাসে মাঠ। কারেন্ট পোকার আক্রমণে শুকিয়ে গেছে বেশিরভাগ ধান গাছ। এতে ধানের পরিবর্তে গাছে ঝুলছে শুধু চিটা। কীটনাশক ব্যবহারেও কোন কাজ হয়নি।

জমির মালিকরা জানান, 'দেড় বিঘা জমিতে ২৫ মণ ধান হয়, সেখানে হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ। কারেন্ট পোকা সব খেয়ে নিয়েছে। আমরা কিভাবে চলব, এই জমি থেকে চাষের উপরই আমাদের সংসার চলে।'

এর পাশাপাশি তেল, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খরচ বাড়ায় অনেকটা হতাশ চাষিরা। আক্ষেপ নিয়ে তারা বলেন, 'কীটনাশক, সার, তেল সবকিছুর দাম বেশি। পোকার আক্রমণও বেশি। ৫ বিঘা জমিতে ৩০ মণ ধান হলে আমরা কি খাব আর পরবর্তী চাষ করব কি দিয়ে।'

এ মৌসুমে জেলায় ২৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ হাজার টন চাল। টনপ্রতি ৪৬ হাজার ২০০ টাকা দরে ৩৯২ কোটি টাকার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জন নিয়ে রয়েছে সংশয়। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, তাদের পরামর্শে অনেকটাই লাঘব হয়েছে সংকট।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিজয় কুমার হালদার জানান, 'মাইকিং থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে কৃষকদের সচেতন করেছি, যার ফলে পোকার আক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। দু'একটি জায়গায় কিছুটা কম হলেও ফলনে আমাদের লক্ষমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করি।'

আমন ধান স্থানীয় বাজারে মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর চাল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়।

এমএসআরএস
আরও পড়ুন:

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর