কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাটে অবশেষে স্বজনদের অপেক্ষার অবসান। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরার পর মানুষগুলোর চোখে-মুখে বৃষ্টির মতোই যেন আনন্দ। আক্ষেপ ঘুচিয়ে স্বজনদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি।
মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থিত সিতওয়ে বন্দর থেকে শনিবার তাদের নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হয় মিয়ানমারের জাহাজ 'ইউএমএস চিন ডুইন'।
আজ (রোববার,২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের পর কোস্টগার্ড ও বিজিবি সদস্যরা তাদের একটি টাগবোটে করে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়াস্থ ঘাটে আসেন সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে। যাদের কেউ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে গিয়ে আর কেউ ভুলক্রমে মিয়ানমারের সীমায় ঢুকে ধরা পড়েন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে।
দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন জানান, নিজের দেশে আসছি। মায়ার দেশ, নিজের দেশ, স্বাধীনতার দেশ। অনেক ভালো লাগছে। আরও একজন জানান, ১৮ মাস পর দেশে ফিরে আসলাম ।
দেশে ফেরা ৫৬ জনের বাড়ি কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায়। বাকিরা বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার।
স্বজনদের মধ্যে একজন জানান, সুস্থভাবে যে আমাদের কাছে আসতে পারছে আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করতেছি।
একই জাহাজে মিয়ানমারে ফিরে যান বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেদেশের ১২৩ বিজিপি ও সেনা সদস্য। মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন এই বিজিপি ও সেনা সদস্যরা। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তাদের নিয়ে টাগবোটটি গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ মিয়ানমারের জাহাজের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার শহরে নেয়া হয় মিয়ানমারের ১২৩ নাগরিককে।
এ নিয়ে গত ১৫ মাসে মিয়ানমারে সাজা খেটে দেশে ফিরেছেন ৩৩২ বাংলাদেশি আর মিয়ানমার ফিরেছেন দেশটির ৮৭৫ সীমান্তরক্ষী-সেনা সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক।