ডলারের দামের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার খরচ বেড়েই চলেছে দিন দিন। সেই সঙ্গে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফার সুবিধা নিচ্ছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীদের এ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আমদানিতে শুল্ক ছাড়, নূন্যতম এলসি মার্জিন এবং একাধিক দেশ থেকে পণ্য আমদানির কার্যক্রম চলমান আছে।
তবে শুধু বিশেষ সময় নয়, সারা বছর সরবরাহ ঠিক রাখতে এবার ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার।
চাল, ধান, গম, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যের সরবরাহ যেন সারাবছর ঠিক থাকে সে জন্য এ চুক্তি করা হবে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য নিত্যপণ্যের বৃহত্তম যোগানদাতা দেশ ভারত, আমদানির ক্ষেত্রে বার্ষিক সুনির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমোঝোতা স্মারক সম্পাদনের কার্যক্রম চলছে।'
এদিকে আসন্ন রমজান ঘিরে দাম ও বাজারজাত ঠিক রাখতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জনগণকে সংযমী হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।'
আসছে রমজান মাসে জ্বালানি সংকট থাকলেও সেহরী ও তারাবির সময় লোডশেডিং হবে না বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোজায় ভারত থেকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর ২৫টি স্থানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে বলেও জানান সংসদ নেতা।