সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজধানীর একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আদাবর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শাতিল। তিনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশের নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এই মামলা করেছেন।
বাকি ছয় আসামির মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা বা পুলিশের সদস্য ও তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আমীর হামজা শাতিল বলেন, 'বিবেকের তাড়নায় এসে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। প্রধান আসামি শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং খুনি পুলিশ বাহিনী। সমস্ত বাংলাদেশে যত খুনের ঘটনা ঘটেছে সব খুনের বিচার চাই।'
পরে আদালতে দায়ের করা এই হত্যা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মামলা এজাহার হিসেবে নিতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। একইসঙ্গে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরে এদিন দুপুরে বোন শেখ রেহেনাকে নিয়ে দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন।