কৃষিকে শক্তি করে আদমজী পাটকল থেকে আজ বাংলাদেশের ১০টি খাতে ৫ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।
সেই কৃষি এখন শুধু শস্যভিত্তিক উৎপাদন নয়; মাছ, হাঁস-মুরগি পালন, নার্সারি, গবাদিপশু পালন, ডেইরি ফার্মের মতো খাতে ব্যাপ্তি ছাড়িয়েছে। কৃষিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা।
কুমিল্লায় বাড়ির সামনের তিন পুকুরে মাছ চাষ করেছেন শাহজাহান। তিনি বলেন, পুকুরে সব ধরনের মাছ আছে। ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি, আরও আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
মুরগির খামারি শরীফ আহমেদ হেলাল পড়াশোনা শেষে চাকরির চেষ্টা করেননি। তিনি বলেন, ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন আমার খামারে কয়েক হাজার মুরগি আছে।
এদিকে রপ্তানি খাতেও এখন প্রক্রিয়াজাত খাবার আর শাক-সবজি জায়গা করে নিয়েছে। অথচ কৃষিকে দূরে রেখে শিল্পে জোর দেয়া ও বিশ্ব উন্নয়ন সংস্থার ফর্মুলা না মেনে কৃষিতে প্রাধান্য বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছে।
অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, করোনার সময় অনেক দেশ খাদ্য সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশ কিন্তু খাদ্য সংকটে পড়েনি। আর ২০২০ সালে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
২০২২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, কৃষিকে ঘিরে এখনও পুরো অর্থনীতি ঘুরছে। ১৮.৪ শতাংশ মানুষ শিল্প খাত আর সেবা খাতে ৪৩.৪৮ শতাংশ কাজ করেন। ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে শিল্পকারখানা বলতে একমাত্র ছিলো আদমজী পাটকল। শিল্পখাতে মূলধন বিনিয়োগে পশ্চিম পাকিস্তানের ৩০৮.৬ কোটির বিপরীতে পূর্ব পাকিস্তান পায় মাত্র ১৪৮ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশের ভেতরে আমাদের আমদানি বিকল্প শিল্প গড়ে উঠেছে।
১৯৭১ সালে ৩৫৮ কোটি টাকার দায় মাথায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিমাসে এখন ১ কোটি ২০ লাখ শ্রমশক্তির খাত রিজার্ভে ফুটপ্রিন্ট রেখে যাচ্ছে। দেশের আর্থিক খাত এখন উন্নয়ন আর বিনিয়োগমুখী। মাইক্রো ফাইন্যান্সে ৩ কোটি ৩০ লাখ উদ্যোক্তা রয়েছেন, সঙ্গে ৬ লাখ ৫০ হাজারের দক্ষশক্তির প্রযুক্তিনির্ভর খাত যোগ হয়েছে। ২০২৫ সালে এই খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট রয়েছে।