বাজার , কাঁচাবাজার
দেশে এখন
তাপপ্রবাহে বাজারে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ শাক-সবজি
তীব্র তাপপ্রবাহে রাজধানীর কাঁচাবাজারে নষ্ট হচ্ছে শাক-সবজি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার সবজি নষ্ট হচ্ছে প্রতিরাতে। যদিও সবজি তাজা রাখতে বরফ ও পানি ব্যবহার করছেন আড়তদাররা।

কৃষকের জমি থেকে ঢাকায় আসা সবজি এই তীব্র গরমে কি হাল। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে ৭ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে এক ট্রাক শসা এনেছেন মোতালেব মিয়া, বললেন গরমে পচে যাচ্ছে তার পণ্য। ভয়ে আগে ভাগেই ৩০ টাকার শসা বিক্রি করছেন ৭ থেকে ৮ টাকা দরে।

সিরাজগঞ্জ থেকে মশা নিয়ে কারওয়ান বাজারে এসেছেন কৃষক মোতালেব মিয়া। ছবি: এখন টিভি

মোতালেব মিয়া বলে, 'আসতে আসতে তো রাত ১২টা পার হয়ে গেছে। এ পণ্যটা তো সকালে বিক্রি হতো। বাজার খারাপ হলে তো পণ্যটা বাসি হয়ে যাবে। তখন শশাগুলো পচে যাবে। এ সপ্তাহে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা লস।'

কারওয়ান বাজারের টমেটো, মরিচ, বেগুন ধনেপাতার ব্যবসায়ীদের একই কারণে কপালে চিন্তার ভাজ।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'পণ্য পচে গেলে তো ক্ষতি হবেই। এক কেজি পাতার দাম ১০০ টাকা। ১০ কজি নষ্ট হয়ে গেলে ১ হাজার টাকা লস। বৃষ্টি নাই, গরমে সব পচে যাচ্ছে।'

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পথে দীর্ঘ সময় এসব পণ্য পরিবহনে থাকে, সেই সঙ্গে তীব্র গরমে বেশির ভাগ শাক-সবজি নেতিয়ে পড়ছে। সতেজ রাখতে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্য রুবেল মিয়া জানান, সব প্রতিষ্ঠানকে পণ্য পঁচে যাওয়া রোধে, দ্রুত বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রুবেল মিয়া বলেন, 'বৃষ্টি হলে পণ্যটা ভালো হয়। এখন তো বৃষ্টি নাই। প্রচন্ড গরম। কাঁচা সবজির খুব ক্ষতি হচ্ছে এখন। অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। এখন যেটা করা যাবে সেটা হচ্ছে পচার আগেই তারাতারি বিক্রি করে দিতে হবে।'

এরই মধ্যে দ্রুত পচনশীল পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শসা ৭ থেকে ৮, বেগুন ২০, টমেটো ২২ ও মরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে। ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ, কুমড়া প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।

প্রতিরাতে নগরীর কাঁচা বাজারগুলোতে ২২০ থেকে ২৪০টির বেশি পণ্যবাহী ট্রাক আসে। যা জাগিয়ে রাখে নগরের রাতের অর্থনীতিকে। প্রতিরাতে বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ কোটি টাকার শাক-সবজি। তবে তীব্র গরমে সেই বিক্রি কিছুটা কমে এসেছে।

এমএসআরএস