পরিবেশ ও জলবায়ু
গত ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ কমেছে ৭ শতাংশ
গত ২৮ বছরে ঢাকায় সবুজ কমেছে ৭ শতাংশ। আর জলাভূমি ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে আশঙ্কাজনক এমনই তথ্য। এছাড়া গত দুই দশকে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা বেড়েছে ৮১.৮২ শতাংশ। এদিকে ঢাকার তাপপ্রবাহ কমাতে উন্নয়ন দর্শনে পরিবর্তন আনতে সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

এ শহর কি শুধুই দালান আর কংক্রিটের? সবুজের আলপনায় একটু চোখ জুড়ানোর কি কোনো সুযোগ নেই?

নগরের উন্নয়ন মনস্তত্ত্বে যেন শুধুই ইমারত। সবুজ ধ্বংস করে, জলাশয় ভরাট করে নির্মাণযজ্ঞের মহড়া। পরিবেশের ভাবনা তো অরণ্যে রোদন। এমন বাস্তবতায় তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঢাকা, পরিণত হয়েছে তাপীয় দ্বীপে।

সংস্থাটির ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদন বলছে, গত দুই দশকে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা বেড়েছে ৮১.৮২ শতাংশ।

অপরিকল্পিত নগরায়নসহ নানা কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। ফলে জনজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। তবে নগরবিদদের আলোচনায় বেশকিছু পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।

নগর ধ্বংস করে উন্নয়ন দর্শন বদলাতে আহ্বান জানান তারা। গ্রিন বিল্ডিং কোড প্রণয়নসহ সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় আনা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন নগরবিদরা।

প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করবে। কেউ আলাদা আলাদা কাজ করবে না। সরকারের বাইরেও অনেক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মহল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া আছে। সবাইকে এক টেবিলে নিয়ে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে পরিকল্পনাবিদদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে।’

ঢাকাকে বাঁচাতে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনার (ন্যাপ) সুপারিশ বাস্তবায়নসহ অবৈধভাবে পরিবেশ নষ্টকারীদের শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব দেয় বিআইপি'র সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, ‘জলাশয় ও জলাধারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে। আর এক ইঞ্চি সবুজ এলাকা যেন না কমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

প্রস্তাবনায় সড়কদ্বীপে বৃক্ষরোপণ বাড়ানো, পরিবেশ আইনকে কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নগর বিশেষজ্ঞরা।

এভিএস