আলোচনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে পানির চাহিদা মেটাতে সমুদ্রের নোনাপানি পরিশোধন করা হতে পারে। সমুদ্রের পানি পরিশোধনে প্রস্তাব দিতে কোম্পানিগুলোকে আহ্বান জানান তিনি।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, ২০৪০ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে দিনে ১০০ কোটি লিটার পানির চাহিদা তৈরি হবে। পানির চাহিদা মেটাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। আরও ১০ কোটি লিটার পানি পেতে দু’টি পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। আর মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী থেকে দিনে ৫০ কোটি লিটার উত্তোলনে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাধ্যমে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনাও আছে।

বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ছাড়াও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানির চাহিদা পূরণ কঠিন হবে। তবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

ডুপন্ট ইন্ডিয়ার পরিচালক ক্রিস ফারনান্দেস বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে ডুপন্ট একটি প্রযুক্তিনির্ভর বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে রিভার্স অসমোসিস, আল্ট্রাফিলট্রেশন এবং আরও অনেক উদ্ভাবন আছে।’

ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাবিব বলেন, ‘পানি পরিশোধন ও শিল্পের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতে আমরা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে চাই। এতে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।’

শিল্প কারখানার পানি পরিশোধন, সমুদ্রের পানি পরিশোধনসহ পানির চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেয় ডুপন্ট। ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন ও নগরায়নের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশেও ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে কোম্পানিটি।

অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এসময় ডুপন্ট ইন্ডিয়ার পরিচালক ক্রিস ফারনান্দেস, ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপগুলোর প্রায় ২০০ প্রতিনিধি সেমিনারে অংশ নেন। বাংলাদেশে সেবা বিস্তারে ডুপন্টের ব্যবসায়ী অংশীদার ওয়াটার টেকনোলজি বাংলাদেশ।