ক্রিকেট
এখন মাঠে
টানা ব্যর্থতার পরও লিটনেই ভরসা নিক পোথাসের
চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৭ মে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিততে পারলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের। তবুও বিশ্বকাপের আগে এমন সিরিজে লিটনের ব্যাটে কাটছে না হতাশা। দলীয় কিংবা ব্যাক্তিগত, চোখে পড়ছেনা বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো প্রস্তুতি। ম্যাচ শুরু বিকাল ৩ টায়।

দর্শক একবার কোনো ক্রিকেটারের কাছে ভালো কিছু পেলে সেটা বার বার পেতে চাবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে যখন তার ব্যর্থতার পাল্লা ভাড়ি হতেই থাকে তখন সেই ক্রিকেটারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাও অস্বাভাকি না। বাজে সময় প্রতিটা ক্রিকেটারই তার ক্যারিয়ারে পার করেন, আবার সেটা থেকে উতড়ে আগের থেকে ভালো কিছুও উপহার দেন।

লিটন দাসও তার ক্যারিয়ারে এমন সময়টা দেখেছেন আগেও। কিন্তু চলতি বছর তিন সংস্করণে ১১ ম্যাচে একটিও ফিফটি না পাওয়া ক্রিকেটার যখন দলের অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেন তখন সেখানে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের থেকে কি আশা করবেন ক্রিকেট প্রেমীরা?

একজন ওপেনার রান করবেন, দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিবেন এটাইতো তার কাজ। আর বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটেতো সব ক্রিকেটারকেই সব ডিপার্টমেন্টে পারদর্শি হতে হয়। বিশেষ করে ফিল্ডিংতো অবশ্যই। সেখানে জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস লিটনের বর্তমান পারফরম্যান্সে হতাশ না হয়ে তার পূর্বের সামর্থকেই বড় করে দেখছেন। আশা রাখছেন হয়তো লিটন বিশ্বকাপে জ্বলে উঠবেন।

নিক পোথাস বলেন, 'আমার মনে হয় এটা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি। লিটন দাস আমাদের অনেক কিছু দিচ্ছে। সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। বিশ্বকাপ থেকে সে মাত্র এক ইনিংস দূরে আছে। কোনো সন্দেহ নেই লিটন দাস অনেক রান করবে, যেটা সে আগেও করেছে। সে ফিল্ডিংয়ে যা দিচ্ছে, সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে সে দলে অবদান রাখছে।'

লিটন রানে ফিরুক সেটা হয়তো দেশের প্রতিটা ক্রিকেটপ্রেমীর মন থেকে দোয়া। কিন্ত উগান্ডার কাছে হেরে যে দল বিশ্বকাপে সুযোগই পেলো না বিশ্বকাপের আগে সেই দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলে কি হাসিল করতে চাই টিম বাংলাদেশ? যদিও খোলা চোখে পরপর দুই ম্যাচ জিতে আগামীকাল সিরিজ জয়ের জন্যই নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করা, কম রানে আটকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ধুকে ধুকে ম্যাচ জয় করারটা কি আভাস পাচ্ছে দেশের ভক্তরা?

নিক পোথাস আরও বলেন, 'আমরা সব সময় উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ম্যাচগুলো বিশ্বকাপের রিহার্সাল বলা যায়। সুতরাং আমরা সব সময়ই উন্নতির চেষ্টা করছি। ব্যাটসম্যানরা যে অনুযায়ী খেলছে। আমরা সব সময় সে অনুযায়ী উন্নতি মূল্যায়ন করছি। যখনই আপনি ওই দায়িতটা সবার আগে ঠিকঠাক পালন করতে হবে। এরপর আপনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন।'

একের পর এক ক্যাচ ছেড়ে জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা নতুন নতুন জীবন দিচ্ছেন টাইগার ব্যাটরদের। হাতে খুলে ব্যাটিংয়ের মানসিকতা খুব কম ব্যাটরদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে নতুন বলে শুরুতেই চাপে ফেলাটাও পেস বোলারদের সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে। কিন্তু চলতি আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের যে ক্ষিপ্রতা দেখা যাচ্ছে তাতে আসছে বিশ্বকাপে ১০০ থেকে ১৩০ স্ট্রাইকরেটের টাইগার ব্যটাররা কি চাইলে পারতেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে?

প্রশ্ন তোলা থাকুক, উত্তর খোজা যাবে মঙ্গলবারের ম্যাচে।

এমএসআরএস