মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকদের ইয়েমেন ছাড়ার নির্দেশ

যুক্তরাষ্ট্রের হামলা তোয়াক্কা না করে লোহিত সাগরে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী।

এ কারণে বাব আল মান্দেব প্রণালী থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী দু'টি বাণিজ্যিক জাহাজ। এমনকি ইয়েমেনে থাকা মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশ ছাড়তে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে হুতি কর্তৃপক্ষ।

হুতিদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের যৌথ হামলা এবং তাদেরকে দেয়া সন্ত্রাসী তকমা কোন কিছুই শান্ত করতে পারছে না লোহিত সাগর। বরং হুতি বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটটিকে আরও বেশি হুমকিতে ফেলছে। ভয় তো পাচ্ছেই না উল্টো চড়াও হচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী।

এরইমধ্যে হুতিদের হামলার শিকার থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো দুটি মার্কিন জাহাজ। জানা গেছে, লোহিত সাগরের প্রবেশদ্বার বাব আল মান্দেব প্রণালী দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ দু’টি পাহাড়া দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ। তখন কাছাকাছি একটি জায়গায় বিস্ফোরণ দেখতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজগুলো ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

হুতিদের আরও বেশি ভয়ানক হয়ে উঠার নমুনায় যোগ হয়েছে একটি নতুন আল্টিমেটাম। যেখানে জাতিসংঘ এবং সানাভিত্তিক মানবিক সংগঠনে কর্মরত মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকদের এক মাসের মধ্যে ইয়েমেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে হুতি গোষ্ঠী। এমনকি ইয়েমেনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদেশি সংস্থাগুলোকে আমেরিকান এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের নিয়োগ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

হুতিরা বলছে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি। কারণ, দেশ দু’টি আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিদিনই বিমান হামলা চালাচ্ছে। তাই তাদের নাগরিক আমাদের এখানে থাকবে, তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

দেশ দু’টির আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের মধ্যে হুতিদের এমন সিদ্ধান্তে খুশি ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কর্মরত মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকদের মধ্যে কেউ গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে থাকলে তারও অবসান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইয়েমেনের এক নাগরিক বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয়। আমরা এই সিদ্ধান্তের জন্য হুতি গোষ্ঠীকে সাধুবাদ জানাই। কারণ, এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলবিরোধী কঠোর সিদ্ধান্তগুলোর একটি।’

আরেকজন বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল থেকে আমেরিকান এবং ব্রিটিশদের বিতাড়িত করার সিদ্ধান্তটি বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, তারা গোয়েন্দা তথ্য পাঠাতে পারে বা পাঠাতো।’

মার্কিন সমর্থিত এবং সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে প্রায় এক দশকের যুদ্ধের পর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে হুতিরা। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যত পদক্ষেপই গ্রহণ করুক, গাজায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে ইসরাইল ও তাদের মিত্রদের জাহাজে আক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।