বিদেশে এখন , উত্তর আমেরিকা
প্রবাস
অস্থায়ী বাসিন্দা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কানাডার
কানাডায় অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে হতাশ বাংলাদেশিরা। শিক্ষার্থী কমানো ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের আপাতত স্থায়ী না করার খবরে বেড়েছে শঙ্কা। যে কয়টি প্রদেশ পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি দিতো, আবাসন ও কাজের সংকটে তারাও এখন হাঁটছে পেছনের পথে।

উন্নত দেশ কানাডায় স্থায়ী হতে চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল গেলো বছরও। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানে অনেকটা বদলেছে দৃশ্যপট। সরকারের কঠোর অভিবাসী নীতির কারণে সবকিছু এখন এলোমেলো। মূলত আবাসন সংকট দূর করা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই তো গেলো বছরই নতুন করে ঘোষণা আসে আগামী তিন বছরে কমপক্ষে ১৫ লাখ অভিবাসী নেবে উত্তর আমেরিকার দেশটি। ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে কয়েক ধাপে এই রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে অভিবাসন মন্ত্রণালয় নতুন করে বলছে, তারা হ্রাস করছে অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা। অর্থাৎ কমিয়ে আনা হচ্ছে স্থায়ীকরণ বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পিআর দেওয়ার সংখ্যা। যে গুটি কয়েক প্রদেশ এই বিষয়ে সহায়তা করতো, তারা এখন পিছ পা হচ্ছে।

কানাডা অন্টারিও কনেসটোগা কলেজের অধ্যাপক সৈয়দ করিম বলেন, 'বাড়িভাড়া বাড়ছে নতুন করে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা পেতে হলে একজন রোগীকে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সরকারের হাতে অভিবাসনের রেস টেনে ধরা ছাড়া অন্য কোনো গতি এই মুহূর্তে নেই।'

সম্প্রতি কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, যার অন্যতম কারণ আবাসন সংকট। কাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, শিক্ষার্থীদের স্ত্রী বা স্বামীদের। এরই মধ্যে বেড়েছে ভিনদেশী কর্মীর সংখ্যাও, এতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা।

সব মিলিয়ে বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপের মুখে জাস্টিন ট্রুডো সরকার। কনজারভেটিভদের অভিযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা জরুরি সেবার ব্যাঘাতের মূল কারণ অভিবাসীরা। তাই এখন কানাডা সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে এই সংখ্যা কমিয়ে আনবে।

ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমানে যে পরিমাণ বিদেশি অস্থায়ী ভিত্তিতে কানাডায় বসবাস করছেন প্রতি বছর তাদের সাড়ে ৬ শতাংশ হারে কমানো হবে।

এমএসআরএস