বিদেশে এখন
ফিলিস্তিনে মৃতদেহ থেকে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চুরির অভিযোগ
গাজা উপত্যকার তিনটি ভিন্ন গণকবরে প্রায় ৪শ' মানুষের মৃতদেহ পাওয়ার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স। জাতিসংঘ বলছে, তদন্ত করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। এরমধ্যে খান ইউনিসে পাওয়া কিছু লাশ থেকে অঙ্গ প্রতঙ্গ ইসরাইলি সেনাবাহিনী চুরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে ৩শ' ৯২ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬৫ জনের পরিচয় জানা যায়নি। ইসরাইলি বাহিনী অভিযান শেষে সেনা প্রত্যাহারের পর এই এলাকায় মোট তিনটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একটি মর্গের সামনে, আরেকটি মর্গের পেছনে, তৃতীয়টি ডায়ালাইসিস ভবনে।

প্যারামেডিক্স, উদ্ধারকারী দল আর গাজার সিভিল ডিফেন্স বলছে, অনেক মৃতদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উধাও হয়ে গেছে। অনেক মৃতদেহের হাত বাঁধা, শরীরের বিভিন্ন স্থান কাঁটা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই লাশগুলো থেকে অঙ্গপ্রতঙ্গ চুরি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। হাসপাতালের পোশাক পড়া দুইজনের শরীরে অঙ্গ উধাও থাকার পাশাপাশি তাদের জীবিত কবর দেয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিভিল ডিফেন্স বলছে, ইসরাইলের সেনারা ব্যবহার করে এমন প্লাস্টিকে বাঁধা মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

গাজায় চিকিৎসার কাজে নিয়োজিতরা বলছেন, মৃতদেহে অপারেশন করার প্রমাণ মিলেছে। এমন মৃতদেহও মিলেছে যেগুলো কালো আর নীল রংয়ের প্লাস্টিক ও নাইলন দিয়ে পেঁচানো। লক্ষ্য ছিল শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেন দ্রুত পঁচন ধরে, আর কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়। সিভিল ডিফেন্স বলছে, সব ধরনের আলমত প্রমাণ করে এই নাসের হাসপাতালে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করা হয়।

এর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা দাবি করে উত্তর আর দক্ষিণাঞ্চলসহ আল শিফা হাসপাতাল থেকে অনেক মৃতদেহ সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর ফ্রান্সের দাবি এই গণকবর নিয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করুক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আগেই গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এখন পর্যন্ত ইসরাইলি সেনা অভিযানে গাজায় ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে।

ইএ