দেশে এখন
বান্দরবানে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
শুষ্ক মৌসুমে ঝিরি ও ঝরনার পানি শুকিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় তীব্র সুপেয় পানির সংকট। এমনকি কাজে আসছে না জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শতকোটি টাকার প্রকল্পও। অভিযোগ রয়েছে নিয়ম মেনে কাজ না করায় শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই অকেজো হয়ে পড়েছে প্রকল্পগুলো।

এক কলসি পানি সংগ্রহ করতে বান্দরবান সদরসহ ৭ উপজেলার মানুষকে পাড়ি দিতে হচ্ছে কয়েক ঘণ্টার পথ। পাহাড়ি এসব পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন পানি সংগ্রহ করতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয়দের।

দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দাদের পানির প্রধান উৎস নদী-ঝিরি আর ঝর্ণা। কিন্তু শুঙ্ক মৌসুমে পানির এসব উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। অথচ এসব পাহাড়ী এলাকায় পানির চাহিদা পূরণ করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিবছর দুর্গম এলাকায় স্থাপন করে টিউব ওয়েল ও জিএফএস নামে বিভিন্ন প্রকল্প। যাতে ব্যয় হয় কয়েক কোটি টাকা। যদিও শুঙ্ক মৌসুমে কাজে আসেনা কোন প্রকল্প। স্থানীয়দের অভিযোগ, নয় ছয় করে প্রকল্পের টাকা লোপাট ও নিয়ম না মেনে কাজ করায় এমন পরিস্থিতি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, 'গরমের মধ্যে খাবার পানি পাচ্ছি না। কেউ গোসল করতে পারছে না।'

আরেকজন বলেন, 'গতবছর থেকে এবার পানির সংকট বেশি। ব্যবহারের পানি তো দুরে কথা আমাদের গোসলের জন্য ময়লা পানি নিতে হয়।'

তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এবং পাহাড়ের ঝরনাগুলো এইসময় শুকিয়ে যাওয়ায় আমাদের পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করছি।'

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যমতে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে এসব এলাকায় বাস্তবায়িত হয় ৮৯ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়াও পানি সঙ্কট নিরসনে বাৎসরিক বরাদ্ধ দেয়া হয় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা।

ইএ