ঈদুল আজহা যতই এগিয়ে আসছে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ততা বেড়েছে চাঁদপুরের খামারিদের। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের দেয়াসহ নেয়া হচ্ছে বাড়তি যত্ন। তবে গো-খাদ্যের বাড়তি দামে খরচ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা খামারিদের।
সদর উপজেলার গাছতলা এলাকার গরু খামারি লিটন পাঠান। দুই বছর অল্প পরিসরে গরু পালন করে লাভবান হন। তাই এবার ২০টি গরু নিয়ে গড়ে তুলেছেন খামার। হাটে ভারতীয় গরু না আসলে কিছুটা লাভ সম্ভব বলে আশাবাদী তিনি।
গরু খামারি লিটন পাঠান বলেন, 'গো খাবারে দাম অনেক। যার কারণে খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রত্যেক গরুতে এবার ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।'
সকাল থেকে রাত অবধি কোরবানির পশুর যত্ন নিচ্ছেন খামারের শ্রমিকরা। অতিরিক্ত গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে পশুকে একাধিকবার করানো হয় গোসল।
খামারিরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিল ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে খামার চালু রাখা। একটি গরু পালনে গেলবছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ১৫ থকে ২০ হাজার টাকা। গুরুর খামার টিকিয়ে রাখতে গো-খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আহ্বান তাদের।
আরেকজন বলেন, 'অন্যবারের তুলনায় এবার গরু পালনের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। এত বাড়তি দাম দিয়ে গরু পালন করা সম্ভব না।'
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, চাঁদপুরে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি প্রায় ১৪ হাজার কোরবানির পশু। চাহিদা পূরণে উত্তরাঞ্চলের জেলা থেকে গরু আনা হলেও ভারত থেকে গরু আসার সুযোগ নেই।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, 'বিদ্যুতের ও গো খাবারের দাম কিছু কমিয়ে দিলে সরকারের পক্ষ থেকে তাহলে খামারিরা গরু পালন করতে আগ্রহী হবে।'
ঈদুল আজহা ঘিরে চলতি বছর জেলায় প্রায় সাড়ে ৭৩ হাজার গবাদি পশুর চাহিদা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার পশু। এরমধ্যে গরু রয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার।