সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ৯০০ সেনা মোতায়েন করেছে। আর ইরাকে তাদের প্রায় আড়াই হাজার সেনা রয়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের তুরস্ক, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও জর্ডানেও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি।
তবে আমেরিকা ইরানের মাটিতে কোন ঘাঁটি ঘাটতে পারেনি। তাই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের একমাত্র শত্রু ইরান। তাই গাজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যখন সংঘাতের উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তখন আমেরিকার দৃষ্টি কেবল ইরানের দিকে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ ইরানের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইলের ওপর হামাস তাণ্ডব চালাচ্ছে। সেইসঙ্গে মার্কিন ঘাঁটি ধ্বংসেও তেহরান উঠে পড়ে লেগেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগের পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো প্রায় দেড়শতাধিক বার হামলার শিকার হয়েছে। তবে রোববার জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটন নড়েচড়ে বসেছে। কেননা এবারই প্রথম তাদের তিন সেনা মারা গেছেন।
ইরানপন্থী ইসলামিক রেসিসট্যান্স গ্রুপ আর এর দায় নিলেও ইরানের ঘাড়ে সব দোষ দেয়া হচ্ছে। এরসঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয় বলে তেহরান দাবি করে।
জর্ডানের 'টাওয়ার-২২' তে ড্রোন হামলায় একদিন পর ফের রকেট হামলা হয়েছে সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে। বিষয়টি নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম 'প্রেস টিভি'। সেখানে বলা হয় ইরাক সীমান্তের কাছে সিরিয়ার 'দায়ের-আল-জাওর' প্রদেশে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা হয়। তবে বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।
শিগগিরই এ ঘটনার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।