আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিশ্ববাজারে পটুয়াখালীর মৃৎ শিল্প
পটুয়াখালীর মৃৎ শিল্পে এসেছে বৈচিত্র্য। নিত্যপণ্যের বাইরে এখানে তৈরি হচ্ছে হরেক রকম শো-পিস। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে বিশ্ব বাজারে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আর স্বল্প সুদে ঋণ পেলে এই শিল্প আরও এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শিল্পীদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ঘুরছে চাকা। দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় এটেল মাটির দলা থেকে তৈরি হচ্ছে নানা পণ্য। এমন চিত্র চোখে পড়ে পটুয়াখালীর বাউফলের কুমার পাড়ায়। আগে শুধু গৃহস্থালি নিত্যপণ্য বানানো হলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বৈচিত্র্য এসেছে এখানকার মৃৎ শিল্পে।

এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় মাটির তৈজসপত্র। এমনকি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশের বাজারও দখল করছে এ পণ্যগুলো। এতে ভাগ্য বদল হয়েছে এখানকার কুমারদের। এ শিল্পে উচ্চ আয়ের হাতছানি থাকলেও উদ্যোক্তাদের রয়েছে পুঁজির অভাব। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মৃৎ শিল্পকে অনন্য উচ্চতায় নেয়া সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

কারিগররা বলেন, মাটি যেন আমরা সহজ পদ্ধতিতে পাইতে পারি, সেটাই সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন। যাদের চাহিদা আছে তাদেরকে স্যাম্পল অনুযায়ী দিতে পারলে আরও ভালো হতো। যদি সরকারি আরও সহযোগিতার পাই তাহলে আমরা সঠিকভাবে শিল্পটাকে উপস্থাপন করতে পারবো।

এলাকার কুমারদের আরও দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ঋণ সহায়তা দেয়ার কথা জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

তিনি বলেন, 'রপ্তানি করার ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি মাত্র ৪ শতাংশ সুদে তাদেরকে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকে এসএমই ফাউন্ডেশন।'

বাউফলে মৃৎ মিল্পের ছোট-বড় প্রায় ৮০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষের।

এভিএস