পরিবেশ ও জলবায়ু
দেশে এখন
কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ফেনী
কালবৈশাখী ঝড়ের ৪৫ ঘণ্টা পরও স্বাভাবিক হয়নি ফেনীর কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী বিদ্যুতের অবকাঠামো। ভেঙে গেছে ১১৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিদ্যুৎহীন ২ লাখের বেশি গ্রাহক। গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরমে।

ফেনী শহরতলীর নতুন বাজার ও ফকির বাজার এলাকা। সোমবারের দুই ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পুরো এলাকা। ঘটনার দুদিন গেলেও এখনও স্পষ্ট ক্ষতচিহ্ন। ঠিক হয়নি এই এলাকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সংযোগ। ভোগান্তি বেড়েছে ৬ উপজেলার জনজীবনে। তীব্র গরমে ছড়িয়ে পড়েছে হাহাকার।

ভুক্তভোগীরা বলেন, জনগণের চলাচলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। কোন গাড়ি রাস্তা পার হইতে পারতেছে না। তুফানে পিলার ভেঙ্গে গেছে। বিদ্যুৎ চলে গেছে, এখনো আসে নাই। গরমে আমদের খুব কষ্ট হইতেছে।

দুর্ভোগের এমন চিত্র সদর ও দাগনভূঞাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা যায়। তবে অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিক রয়েছে বিদ্যুত সরবরাহ।

স্থানীয়রা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা গোসল ও খাবারের পানি পাচ্ছি না। পল্লী বিদ্যুতের লোক এসে দেখে গেছে। এরপরে আর তাদের কোন খবর নাই।

এ বিষয়ে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে, সোমবারের কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে গেছে ১১৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ৮৩৯টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। ৯৭৬টি স্থানে তারের উপর গাছ পড়েছে এবং ৫৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। সংযোগ স্বাভাবিক করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে।

শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, 'ঝড়ের গতিবেগ কমার পর আমাদের লোকজন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ শুরু করে। কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে।'

পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে ২ লাখের বেশি গ্রাহক। পুরোপুরি চালু হয়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগও। এছাড়া মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল হলেও শতভাগ সচল হয়নি গ্রামীণ সড়কগুলো।

এভিএস