মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ইছামতি চা বাগানের মঙ্গলচণ্ডী মন্দির। এখানে প্রতিদিন একটি করে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে দেবী দুর্গার ৯টি রূপের মধ্যে শৈলপুত্রী রূপের পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দেবী ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় দিন দেবী চন্দ্রঘণ্টা, চতুর্থ দিন দেবী কুম্মান্ডা, পঞ্চম দিন দেবী স্কন্দমাতার পূজা করা হয়।
পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ দিন দেবী কাত্যায়নী, সপ্তম দিন দেবী কালরাত্রি, অষ্টম দিন দেবী মহাগৌরী ও দেবী সিদ্ধিদাত্রী পূজিত হবেন। ১২ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত চলবে দেবীর নয়টি রূপের পূজা।
ওইদিনই হবে দেবীর বিসর্জন। নয়দিনে নয়জন পূজারি দেবীর পূজা করে থাকেন। এই মুহূর্তে সারাদেশের হাজার হাজার পূজা মণ্ডপ যখন শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সেখানে শ্রীমঙ্গলের মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরে ঢাকের তালে মোহিত হচ্ছেন ভক্ত-পূজারী।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী পার্বতীর নয়টি ভিন্ন রূপ রয়েছে। মঙ্গলচণ্ডিমন্দিরে সেই নয় রুপেরই পূজা করা হয়।
শ্রী শ্রী মঙ্গলচণ্ডী মন্দিরটি প্রায় দুইশত বছরের পুরনো। ১৪ বছর ধরে এই আগাম দুর্গাপূজা করছেন ভক্তরা। এই নবদুর্গা পূজা দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে আসতে সমস্যার মুখে পড়েন ভক্তরা। এ ব্যাপারে নজর দিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্দির পরিচালনা কমিটি।