তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী বলেন, 'আমর আসছি মূলত সাম্প্রতিক যে সহিংস ঘটনাগুলো ঘটেছে এগুলোর মূল কারণ উদ্ঘাটন করা। এখানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কারা, তাদের তালিকা প্রণয়ন করা। তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টা সরকারকে জানানো। আগামীতে যাতে এ ধরণের সহিংস ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা। এই তিনটি কাজই আমাদের মূল দায়িত্ব। এজন্য আমরা সব জায়গাগুলো ভিজিট করছি।'
আজ (সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটি রাঙামাটি শহরের বনরূপা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদেে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এসময় তদন্ত কমিটির সদস্য রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু উপস্থিত ছিলেন।
গেল ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে হত্যাকাণ্ডের জের ধরে ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে। এতে খাগড়াছড়িতে ৩ জন ও রাঙামাটিতে ২ জন নিহত হয় আহত হয় শতাধিক। এছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনা তদন্তে ২৬ সেপ্টেম্বর তিন জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নিয়ে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। কমিটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে ।
মূলত সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণ এবং ভবিষ্যতে একই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যথাযথ সুপারিশ প্রণয়ন করবে এই কমিটি।
এর আগে তদন্ত কমিটি (রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।