দেশে এখন
0

অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই প্রকৌশলী আটক

অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ। উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিব ও কনকসহ কয়েকজন। এ সময় ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যার পর তাদেরকে পুলিশ আটক করে সদর থানায় নিয়ে যায়।

আটক দুই প্রকৌশলী হলেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা ও একই কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অনুসন্ধানের কাজে যান পাবনার কয়েকজন সাংবাদিক। তারা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকবার নক করার পর মাসুদ রানা দরজা খোলেন। ভেতরে ঠিকাদার ও স্থানীয় কমিশনার আরিফুজ্জামান রাজিব, ঠিকাদার কনক ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফসহ কয়েকজনকে দেখা যায়। এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখতে পান সাংবাদিকরা।

সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সঙ্গে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চান সাংবাদিকরা। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিশকে জানান ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যান দুই ঠিকাদার। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) খবর দেন। সেখানেই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন দুদক ও পুলিশ। পরে সন্ধ্যার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, 'দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো তার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

আর সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, 'তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পেলে দুই প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর