এক মগ পানিতে এক চামচ করে কফি ও হলুদ রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হয় চা পাতার রঙ। এরপর প্রস্তুত করা ১৫ গ্রাম রঙ ৫ কেজি চা পাতার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়। এই ৫ কেজি চা পাতা অল্প করে মেশানো হয় আধা কেজি ও ১ কেজির প্যাকেটে। সে চা পাতা কাপের ঠান্ডা পানিতে মেশাতেই চলে আসে চায়ের রং।
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় আবাসিক ভবন ভাড়া নিয়ে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে এভাবেই চা পাতা তৈরি করে বাজারজাত করছে সিটিজি টি এন্ড কফি ব্রান্ডের কারখানা।
সিটিজি টি'র কারিগর মো মাসুম বলেন, '১০ গ্রাম চকলেট রঙ ও ৫ গ্রাম হলুদ রঙ পানিতে মিশিয়ে তা পাঁচ কেজি চা পাতায় মেশানো হয়। তারপর সে পাঁচ কেজি চা পাতা ৫০ কেজির সাথে আধা কেজি করে দেয়া হয়।'
প্রতিষ্ঠানটিতে বস্তায় করে শত শত কেজি চা পাতা মজুদ করা আছে। তৈরি করা হয় গোল্ড, ক্লোনসহ বিভিন্ন ধরণের চা পাতা। ফেসবুক এবং পোস্টার আকারে দেয়া হয় চটকদার বিজ্ঞাপন। যেখানে শতভাগ ন্যাচারাল ও রঙ এর গ্যারান্টি দেয়া হয়। কারখানা মালিক জানান, ভারত থেকে আমদানি করা এসব রং ঢাকার নবাবপুর থেকে সংগ্রহ করেন তিনি।
সিটিজি টি কারখানা মালিক মো ইয়াসিন চৌধুরী বলেন, 'অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে মোবাইলে যোগাযোগ করলে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিত। ফুডগ্রেড লেখা দেখে বিষয়টা সহজভাবে নিয়েছি।'
অভিযানে আসা চা বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, ফুটপাতে চায়ের দোকান ও সড়কের মোড়ে কমদামে এসব চা পাতা সরবরাহ করা হতো। অভিযানে কারখানাটি বন্ধ করে, মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের জেল দেয়া হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো রুহুল আমিন বলেন, 'চায়ে লিকার সবসময় একরকম হবে না। কেউ চ্যালেঞ্জ করে শতভাগ খাটিঁ বলতে পারবে না।'
কারখানাটি থেকে প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৩০০ কেজি চা পাতা।