নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর হারে শীর্ষে বাংলাদেশ। প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যু হচ্ছে ২ থেকে ৩ জনের। দোকানির পরামর্শে ওষুধ খাওয়াসহ নানা কারণে দেশে কমছে না এই মৃত্যুহার।
জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট জীবনের সঙ্গী হয়েছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের। শারীরিক অসুস্থতায় মাঝে মাঝেই স্কুল থেকে হাসপাতালে যাওয়ায় তাদের মন ভালো থাকে না। তবে পরিস্থিতি বুঝে সন্তানদের যথাসময়ে হাসপাতালে ভর্তি করায় সুস্থতার পথে শিশুরা।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক শিশু বলেন, আমার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। নিয়মিত স্কুলে যেতে পারি না, আমার খুব কষ্ট হয়।
এক অভিভাবক বলেন, ৭ দিন ধরে আমার বাচ্চার জ্বর-কাশি। কিছু খেতে পারছিলো না। তাই হাসপাতালে নিয়ে আসছি।
সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি'র প্রকাশিত এক গবেষণায় বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর চিত্র উঠে আসে। গবেষণায় বলা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী, গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া শৈশবকালীন নিউমোনিয়ার নতুন কারণ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘরের মধ্যে বাতাসের গুণগতমান উন্নত করার মাধ্যমে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিউমোনিয়া মূলত ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা। রোগের শুরুতে কাশি হলেও সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যু হতে পারে।
সমস্যা সমাধানে অনেক চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের দিকে যতোটা নজর দেন ততোটা নজর অক্সিজেনের স্বল্পতা ও তা পূরণের দিকে দেন না বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা।
শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্রা ছবি: এখন টিভি
গবেষণায় আরও উঠে আসে, হাত ধোয়ার অভ্যাসের মাধ্যমে ২১ শতাংশ এবং জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে নিউমোনিয়া ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এই ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলতে পরিবারের সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
প্রতিবেদক: মুজাহিদ শুভ