বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘বিন্দু থেকে হয় সিন্ধু’। খুব অল্প কিছু উপায় অবলম্বন করে ভবিষ্যতের নিরাপত্তায় আপনিও জমাতে পারেন অর্থ।
১. বাজে খরচা একদম বাদ দিন
দিন দিন যেভাবে খরচ বাড়ছে তাতে দিনশেষে কিছু টাকা বাঁচাতে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার উপক্রম। মাসের শুরুতেই করে ফেলুন ব্যয়ের তালিকা। একেবারেই প্রয়োজনীয় না হলে সেই ব্যয় করা থেকে বিরত থাকুন। মাসের শেষে যদি সামান্য কিছু অর্থও বেঁচে যায় তবে সেটাকেই সঞ্চয় করুন।
২. লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করুন
কয়েকমাসের ছোট ছোট সঞ্চয় থেকে যখন বড় অংকের অর্থ জমা হবে তখন সে অর্থ বিনিয়োগ করুন কোন লাভজনক খাতে। যেমন কোন দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী আমানত হিসাব, মাসিক সঞ্চয় হিসাবে জমা করুন অর্থ। একটা সময় পর লভ্যাংশসহ একটা বড় অংকের অর্থ জমা হবে আপনার অ্যাকাউন্টে।
৩. ডিসকাউন্টে বাজিমাত
প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো বছরের বিভিন্ন সময় কোন না কোন উপলক্ষে মূল্য ছাড়ের অফার দেয়। পণ্যভেদে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন হাউজ, চেইন শপ কিংবা সুপার শপে দেয়া হয় ৫% থেকে ৭০% পর্যন্ত মূল্য ছাড়। এসময় নিজের পছন্দমত পণ্য বেছে নিয়ে ব্যয় কমান।
৪. ক্রেডিট কার্ডের ওপর নির্ভরশীলতা কমান
বিশ্বায়নের এই যুগে খরচের জন্য এখন আর নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় না। খরচের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং। পজ মেশিনে কার্ড প্রবেশের সাথে সাথেই হারিয়ে যায় টাকা। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের খরচের মাত্রাকে আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ক্রেডিট কার্ড। ক্রেডিট কার্ডের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীলতা আপনার জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৫. ধার করা বন্ধ করুন
জীবনযাত্রার ব্যয় কমান। অতিরিক্ত খরচ, কেনাকাটা ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ বাজেট ঘাটতি থাকলে দামি কোন কিছু কিনতে হলে ব্যাংক ঋণ নেয়ার প্রয়োজন হয়। অস্থিতিশীল আর্থিক অবস্থার কারণে দেশে এখন ব্যাংক ঋণে সুদের হারও অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনকিছু কিনতে হলে আপনাকে ব্যাংক ঋণ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে মাসিক কিস্তি দিতে বাড়াতে হবে ব্যয়।
৬. সাধারণ জীবনযাপন করুন
ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে 'কস্ট কাটিং পলিসি' অনুসরণ করুন। অতিরিক্ত খরচের বদঅভ্যাস পরিহার করুন। জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলুন। সর্বোপরি খুব সাধারণ জীবনযাপন করুন। অতিরিক্ত খরচ কখনো কখনো আপনাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। ছোট ছোট সঞ্চয় একসময় বড় আকার ধারণ করে বিপদের সহায় হতে পারে।