বিদেশে এখন
0

মেক্সিকোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন

যুক্তরাষ্ট্রে বাজার ধরতে মেক্সিকোকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চীন। তিন দেশের এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের নাম দেয়া হয়েছে 'নিয়ারশোরিং'। মেক্সিকোতে চীনা অর্থায়নে গড়ে তোলা হচ্ছে শিল্প কারখানা। যেসব পণ্যের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। যা মেক্সিকোর অর্থনীতিকে করেছে গতিশীল। এবার দুই দেশের মধ্যে চালু হলো বাণিজ্যিক ফ্লাইট।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পণ্যের গায়ে লেখা মেড ইন মেক্সিকো। তবে বেশিরভাগ পণ্যই চীনের মালিকানাধীন এবং চীনা অর্থায়নে মেক্সিকোর কারখানায় উৎপাদিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ ও নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ব্যবসা করে যাচ্ছে চীন। আর তাতে সহায়কের ভূমিকায় মেক্সিকো।

মূলত চীনা পণ্যের শেষ গন্তব্যস্থল এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। 'নিয়ারশোরিং' নামের এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের মাধ্যমে চীনা কোম্পানিগুলো ভিয়েতনাম, কোস্টারিকা থেকে সরে মেক্সিকোতে আসছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে না চীনা কোম্পানিগুলো। অন্যদিকে, পরিবহন খরচ ও করের বোঝাও কমে যাচ্ছে।

মেক্সিকোর প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের বদলে এখন চীন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মেক্সিকোতে চীনের এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদী হবে। এছাড়া, দুই পরাশক্তির মধ্যে কৌশলগত ভূমিকা রাখবে মেক্সিকো। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী সমস্ত পণ্য মেক্সিকান।

নিয়ারশোরিং গতি এনেছে মেক্সিকান অর্থনীতিতে। গত এক বছরে দেশটির রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি উত্তর মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেড়েছে চীনাদের আধিপত্য। বেড়েছে জায়গার দাম ও চাহিদা। ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সব জায়গা ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।

মেক্সিকান সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন প্রবেশ নিয়ে প্রতিবেশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্যা লেগেই আছে। এবার চীনা কোম্পানির আধিপত্যে মার্কিন রোষানলে পড়ার আশঙ্কায় মেক্সিকো।

এরইমধ্যে প্রথমবারের মতো মেক্সিকোর সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করলো চীন। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার দুয়ার খুলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মেক্সিকোকে ব্যবহার করে লাভের পাল্লা ভারী করছে চীন। অস্থির এই বাণিজ্যিক সময়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টায় আছে মেক্সিকোও।

এসএসএস