কখনো ঝিরি ঝিরি, কখনো ঝুম বৃষ্টি। রাজধানীতে এমন বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমলেও, চোখে পড়ে ভোগান্তির চিরচেনা চিত্র। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। পড়েন যানবাহন সংকটসহ নানা সমস্যায়।
পথচারীদের মধ্যে একজন জানান, পানির জন্য ওইপারে পার হওয়া যায় না। এইভাবে কি রাস্তায় হাঁটা যায়। রিকশা যাচ্ছে না। পানি জমে গেছে। জুতা খুলে পায়ে হেঁটে পার হচ্ছি বলেও জানান একজন পথচারী।
রিকশা চালকদের মধ্যে একজন জানান, বৃষ্টির জন্য রিকশা চালাতে কষ্ট হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত টানা ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নগরে নতুন নয়। জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দাবি জানান পথচারীরা ।
পথচারীদের মধ্যে আরো একজন জানান, ড্রেনগুলো যদি খোলা থাকতো তাহলে পানি এভাবে জমতো না।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাবে, পরে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, 'বৃষ্টিপাতের ধারা গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর এবং আজ ২৬ সেপ্টেম্বর একই ধারারই চলবে। আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে আবহাওয়ার যে বৃষ্টিপাতের ধারা সেটা উন্নতির দিকে যাবে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে।'
সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।