দেশে এখন

সরকারি গুদামের কোটি টাকার চাল-গমের সাথে উধাও খালি বস্তা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি খাদ্যগুদাম থেকে ১৩১ টন চাল, ৬৮ টন গম এবং প্রায় ৩৫ হাজার খালি বস্তার হদিস নেই। সরকারি দর অনুযায়ী, খাদ্যগুদাম থেকে উধাও হওয়া খালি বস্তা ও খাদ্যপণ্যের বাজার মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা।

এ ঘটনায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরদিন জেলার পুলিশ সুপার তা তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠান।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত মে মাসে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেন সংস্থার মহাপরিচালক। এ সময় এখানে কিছু অনিয়ম দেখতে পান। পরে ২০ মে পলাশবাড়ীর তৎকালীন খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ‘প্রশাসনিক’ কারণ দেখিয়ে সিলেটে বদলি করা হয়। এরপর পলাশবাড়ি খাদ্যগুদামে একইদিনে গাইবান্ধা সদরের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএস শাহিদ হাসানকে পলাশবাড়ি খাদ্যগুদামের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু, আব্দুল্লাহ আল মামুন তার দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় ২১ মে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করেন। এই কমিটি চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামের মালামাল গণনা করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

সে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পলাশবাড়ী গুদাম থেকে ১৩১ দশমিক ১৯ টন সিদ্ধ চাল, ৬৮ দশমিক ৫৭৩ টন গম আর ৩৪ হাজার ৯২৬টি খালি বস্তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার সরকারি মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লাইছুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন জেলা দুর্নীতি দমন কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।

এএসএম

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর  

No Article Found!