বিদেশে এখন

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণ এশিয়া

তীব্র দাবদাহের কবলে দক্ষিণ এশিয়া। গেল সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানে হিটস্ট্রোকে কমপক্ষে ১৪ জন মারা গেছেন। পাকিস্তানের অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের রাজস্থানে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

জ্বলন্ত উনুনের মতো ফোসকা পড়া দাবদাহে পুড়ছে পাকিস্তান। ২১ মে থেকে শুরু হওয়া এই তাপপ্রবাহ দেশটির ২৬টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। গত বুধবার সিন্ধু প্রদেশের মহেঞ্জোদারোয় তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মে মাসের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়েও দেশের অধিকাংশ এলাকায় প্রায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ যে দীর্ঘসময় ধরে নলকূপের পানি শরীরে ঢেলেও অস্বস্তি কমানো যাচ্ছে না।

এদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এক সপ্তাহের জন্য পাঞ্জাবের সব স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া জনগণকে বাড়ির বাইরে বের না হতে পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষকে কাজ করতে হচ্ছে সূর্যের নিচে। সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, ‘৫০ বছর আগে এমন গরম দেখেছি। কিন্তু তখন বিদ্যুৎ ছিলো। এখন বিদ্যুৎ ছাড়াই সম্ভবত ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আছি। দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, চলমান এই তাপপ্রবাহ ৩০ মে পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। রাজধানী ইসলামাবাদে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর জুনে দেশটির জন্য আরও দুটি তাপপ্রবাহ অপেক্ষা করছে।

পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশি ভারতেও একই পরিস্থিতি। দেশটির উত্তরের রাজ্যগুলোতে তাপপ্রবাহে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।

রাজস্থানের পাশাপাশি পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডিগড়, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেও পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখছে না দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে তাপপ্রবাহ, তাই বাড়তি চাপ পড়েছে বিদ্যুতের ওপর। গেল সপ্তাহে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল বছরের সর্বোচ্চ প্রায় ২৩৭ গিগাওয়াট। আর রাজধানী দিল্লির বিদ্যুৎ চাহিদা ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর  

No Article Found!