কিন্তু শুরুর চিত্র ছিল উল্টো। মৌসুম শুরুর আগেই চড়া দাম ওঠে তরমুজের। রমজানে তা অনেকটাই চলে যায় ক্রেতার নাগালের বাইরে। বাধ্য হয়ে ক্রেতারাও দেন সম্মিলিত বয়কটের ডাক। ফলাফল, তরমুজের বাজারে কমে যায় ক্রেতা।
বর্তমানে বাজারে একেকটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি হিসেবে। কোথাও আবার পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। কেজিতে ১০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি হওয়া তরমুজের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ বাড়ার কথা। আর এই দাম কমাকে ক্রেতারা দেখছেন তাদের বয়কটের সাফল্য হিসেবে।
তবে কারণ যাই হোক তরমুজের দাম কমে নেমে এসেছে অর্ধেকে। কিন্তু ভরা মৌসুমে এই দামকেও ন্যায্য বলে মনে করছেন না ক্রেতারা।
তরমুজের অস্থির বাজারে আরেকটু স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে রাজধানীর পাঁচটি পয়েন্টে কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন বাফা। যেখানে ৫ কেজির এক একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৭ কেজির, ২০০ টাকায় ৯ কেজির এবং ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ১১ কেজি ওজনের তরমুজ।
কার্যক্রম উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ তরমুজের সিন্ডিকেট ভাঙতে গণমাধ্যমকর্মীদের বেশি বেশি সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
বাফার সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ জানান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভমূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এই লক্ষ্যে কৃষকের খেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
আগামী ২৭ রমজান পর্যন্ত এই তরমুজ বিক্রি চলবে ।