কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের জনপদ। তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। শীতে জবুথবু জীবনযাপনের সঙ্গে দেখা দিয়েছে ফসলের ক্ষতি।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পুরো জানুয়ারি মাসজুড়ে প্রকৃতির এমন থমথমে অবস্থা থাকবে। এদিকে আলুসহ মৌসুমি ফসলের ক্ষতিতে শুধু পরামর্শ দিয়েই দায় সারছে আঞ্চলিক কৃষি অফিস।
তাপমাত্রার পারদের নয় থেকে দশে যাতায়াত আর হিম বাতাসে স্পষ্ট উত্তরের শীতের তীব্রতা। কুয়াশার বৈরিতায় খসে পড়েছে গাছের পাতা, মানুষের সঙ্গে উষ্ণতার আকাল মুক্ত পাখিকেও ভর করেছে। ঢাকা পড়েছে মাঠ, ঘাট, বাজার, জনপদ আর পুরো উত্তরাঞ্চল।
কৃষিনির্ভর উত্তর জনপদে ফসলি মাঠে এখন বাড়ন্ত আলু, টমেটো, সরিষাসহ নানা ধরনের মৌসুমী শস্য। তবে বৈরি আবহাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে শীতকালীন ফসলের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন। আর সবচেয়ে ঝুঁকির কবলে আলু, টমোটো আর বোরোর বীজতলা।
আলু চাষিরা বলেন, ‘আগে গাছ হলুদ হচ্ছে। এরপর লাল হয়ে পচন ধরে গাছ মরে যাচ্ছে। কিন্তু কোন কৃষি কর্মকর্তার দেখা পাই না আমরা।’
ঘন কুয়াশায় প্রথমে কুঁকড়ে যাচ্ছে আলু গাছের পাতা। হেলে পড়ছে ডগা আর হলদে বর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে গাছ। সংক্রমণের পর আলু গাছ নষ্ট হতে সময় নিচ্ছে মাত্র তিন থেকে চারদিন।
রংপুরে ৫৩ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া আলুর বেশিরভাগ এলাকায় লেট ব্লাইট রোগের এমন প্রাদুর্ভাব হওয়ায় উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জনে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ, আবহাওয়া এমন প্রতিকূলে থাকলে মাঠে থাকা ফসলের পরিচর্যা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে, রোগের ধরনভেদে পাঁচ থেকে সাতদিন পরপর আলুতে বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি।’
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘এরকম আবহাওয়া সামনের দিনগুলোতেও থাকবে। তবে দিনের বেলায় কিছুটা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।’