মাসখানেক আগে বাজারে আমন ধান আসায় চালের দাম কমার কথা। অথচ বাজারের চিত্র উল্টো।
হঠাৎ যখন চালের দাম বৃদ্ধি, তখন চাল মিল মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন টানা দ্বিতীয় মেয়াদে থাকা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দাম কমানোর নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী। যে মিল মালিকদের বিরুদ্ধে চালের দাম বাড়ানোর অভিযোগ, তারাই তাৎক্ষণিকভাবে সম্মতি জানায় দাম কমানোর।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'গত চারদিনে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে দাম তুলেছেন, এখন তেমনি দামটা নামিয়ে আনুন। দাম কমানোর কথা দেওয়ায় আপনাদের ধন্যবাদ। ইতিমধ্যে আমাদের বাজার মনিটরিং টিম কাজ করছে।'
নির্বাচনের সময় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ফুড গ্রিন লাইসেন্স চালু করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, '৮টি বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি এবং ডিসি ফুড সবাইকে অভিযান পরিচালনা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে এই নির্দেশনার আগেই বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অভিযান শুরু হয়ে গেছে।'
সভা শেষে মিল মালিক সংগঠনের নেতারা আশ্বাস দেন চালের দাম কমবে।
তারা বলেন, 'প্রতিনিয়ত আমরা আড়তদারদের কাছ থেকে ধান কিনি। কারণ একজন কৃষক প্রতিদিন ১২শ' মণ ধান বিক্রি করবে না। কাজেই একজন কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনার মতো সুযোগ আমাদের থাকে না।'
নির্বাচনের সময় ধানের সরবরাহ কম ছিল বলে দাবি মিল মালিকদের।